নদীর মধ্যে ভুত Horror Story

👽একটা কথা বলে রাখিঃঃ-এটা গল্প হলেও সত্য👻

২০১৬সালের শেষের ঘটনা

আমি তখন ক্লাস 9এ বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে মামার বাড়ি বেড়াতে যাই।আমার মামার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার একটা গ্রামে।সেখানে একটা নদী আছে নদীটির নাম বংশাই।

এখন মূল ঘটনাতে আসি..!

আমরা মামাতো খালোতো ভাইভোন মিলে ৭জন।বোন ২টা আর আমরা ভাই ৫জন।সবাই মামার বাড়ি বেড়াতে যাই..!আমি আর সাগর সমবয়সী যা করি আমি আর ওই একসাথে করি।শীতের সময় সকালে খেজুর রস খাওয়ার জন্য বাজারে যাই।তখন আমরা দেখি বাজারে অনেক মাছ উঠছে।সাগর জিজ্ঞেস করলো মাছ গুলা কী এ নদীর।জেলে বললো হুম।তখন থেকে আমাদের মাঝে মাছ ধরার নেশা কাজ করতে শুরু করে।সারাদিন মাছ ধরার জন্য চেষ্টা করলোও সফল হতে পারি নাই।সন্ধ্যার সময় আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম রাতে মাছ ধরতে যাবো।রাতে খাওয়া শেষ চুপি চুপি ৩জন ৩টা ফসকা নিয়ে চলে গেলাম নদীতে মাছ ধরতে।চাঁদের আলোতে নদীর জল ঝলমল করছিল।আমরা ৫জন মাছ ধরতে লাগলাম।মাছ ধরতে ধরতে কখন রাত ১টা বেজে মনেই নাই।হঠাৎ বাতাস শুধু হলো।কিন্তু আশ্চর্য বিষয় আমরা খেলায় করলাম শুধু আমাদের চারপাশে বাসাত,আর কোথায় কোন বাতাস নাই।আমরা খুব একটা নজর দিলাম না।কারন আমরা ৫জন ছিলাম তাই আমাদের মধ্যে ভয় তা কাজ করে নাই।নদীর জল খুব কম ছিল তাই হেটে এই পার থেকে ওই পারে যাওয়া যায়। জয় যখন মাছ ধরতে ধরতে মাঝে চলে যায় হঠাৎ ওই পরে যায়,কিন্তু আর উঠতে পারে না।ওর মনে হয়তাছে কেউ একজন ওর পা টা শক্ত করে ধরে আছে অনেক টানাটানি করে ওরে তুললাম।সবাই অনেক ভয় পেয়ে গেছি।আর মাছ না ধরে বাড়ির দিতে রওনা হয়।নদীর পাশে ছিল কবরস্থান। দিনের বেলায় একটা কেউ যাই না। তো আমরা ৫জন কথা বলতে বলতে কবরের পাশ দিতে বাড়ির দিকে আসতে থাকি।যখন কবরের মাঝখানে দিকে আইছি কেমন একটা গন্ধ টের পাইলাম।আর অদ্ভুত আওয়াজ আমাদের কানে আসতে লাগলো।গাছগুলোর ডাল মনে হয়তাছে কেউ ভেঙ্গে ফেলছে।কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো কোন গছের ডাল ভাঙ্গাছিল না।কিন্তু আওয়াজ শুনে মনে হয়তেছিল গাছের সব ডালপালা ভেঙ্গে ফেলছে। এইসব অদ্ভুত ঘটনা সাক্ষী হবো কখনো ভাবি নাই।আমরা শীতের দিনেও ঘেমে অস্হির হয়ে গেছি।যত জুড়ে দৌড়াতে চাই মনে হয় পা দুটো ততই ধীরে ধীরে চলে।লাইটাও চার্য প্রায় শেষের দিকে।আমরা আবার নদীর দিকে দৌড় দিলাম।নদীর পাড়ে আসার পর কে যেন আমাকে একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলো দিলো।আমাকে রেখে ওরা অনেকটা দূরে চলে গেছে।আমি ওদের ডাকতে যাবো কিন্তু আমার মুখ থেকে কোন কথা বের হয়না।আমি মনে মনে ভেবেই নিছিলাম আর হয়তো আমি শেষ।জলের মধ্যে থেকে একটা কালো বাচ্চা উঠে আসলো।বাচ্চা আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো আর হাসছিল।আমার এমন মনে হলো কেউ যেন আমার পাশে সান করছে।এত্তো রাতে কে সান করবে পিছনে ঘুরে দিকে জলে কেউ নাই কিন্ত সান কারার আওয়াজ টা তখনো ছিলো।আবার বাচ্চার দিকে তাকিয়ে বাচ্চাকে আর খুজে পেলাম না। তখন দেখি ওরা আমাকে খুজতে খুজতে আমারএখানে চলে এসেছে।জয় আমাকে জল থেকে টেনে তুললো।তখনো আমি কোন কথা বলতে পারছিলাম না।তারপর সাবাই একদৌড়ে বাসায় চলে আসি।আমার আর আকাশে খুব জ্বর হয়েছিল।অকেন ডাক্তার দেখিয়েও ভালো নাহ্ হয়ে আামর স্বাস্থ্য অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছিল।তখন সাগর আমাদের মাছ ধরার ঘটনা সবাইকে বলে দেয়।মামা বাসায় একটা হুজুর ডেকে আনে সে আমাকে দেখেই বলে দিলো আমার পর কালীর নজর পরছে।সে কিছু করতে পারবে না।আমার দাদু একটা তান্ত্রিক ডেকে আনে অনেক কিছু করে আমাকে সুস্থ হয়ে উঠি।কিন্তু ভূতের জন্য ২টা মুরগী দিতে হয়ছে।তারপর থেকে আর কোন সমস্যা হয় নাই।

[কেমন হলো দয়া করে জানাবেন।ভলো খারাপ যেমনি হোক না কেন আপনার মন্তব্য দিয়ে আমাকে অনুপ্রেরণা দিবেন..!প্রথম গল্পে আপনাদের ভালো ভালো মন্তব্য আমাকে এটা লেখার অনুপ্রেরণা দিছে ]

লেখকঃ শুভ্র সরকার🖋📔

🌸ধন্যবাদ 🌸