মিস্টার সাইকো পর্ব ২ Love Story

মিস্টার সাইকো পর্ব ১ Love Story

-যদি বলি তোর সাথে কয়েকজনের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে?
,
-এসব তুমি কি বলছো দিহান ভাই? কেন তুমি এই সাইকোগিরি করছো আর নিজেকে খারাপ বানাচ্ছো।
,
-আমি কোনো সাইকোগিরি করছিনা। দিস ইজ মাই ক্যারেক্টর। যেটা থেকে আমি বের হতে চাইনা।
,
-একটা মেয়েকে এ ধরনের বাজে কথা বলার শাস্তি কি নিশ্চয় তোমার জানা আছে?
,
– আমাকে পুলিশে দিবি? ওকে দেখবো কেমনে পারিস আমাকে পুলিশে দিতে হাহা।
,
-সকালে ওমন একটা কান্ড করেছো দিহান ভাই।
বার বার কিন্তু আমি ছেড়ে দেব না বলে দিচ্ছি!
,
-তুই কথা না ঘুরিয়ে বল।
কয়টা ছেলের সাথে তোর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে?
,
-দিহান ভাই!!!
গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে দিহান কে থাপ্পড় দিলো দিয়া।
-নিজের অধিকারের গন্ডি পার করতে এসো না।
,
-গন্ডির কি দেখেছিস তুই? আমি এমন এমন কাজ করতে পারি যা ভাবলে তোর অজ্ঞান হবার মত অবস্থা হবে।
,
-প্লিজ দিহান ভাই আমাকে তুমি ছেড়ে দাও।
তোমার কষ্ট গুলো আমার বুকে লাগে।
যেই বুকে তোমার নামের ফুল ফুটে রয়েছে তার ভিতর কেন তুমি বারবার কাটার আঘাত করো?
আমারো তো একটা মন আছে। আমিও তো তোমার মতই একটা মানুষ।
আমারো যে কষ্ট অনুভুত হয়।
প্লিজ দিহান ভাই দোহায় তোমার, আমাকে আর কষ্ট দিও না। সকালে জিজুর সিগারেট ধরে রাখা নিয়ে আমার সম্মানের অর্ধেক তো শেষ করেই দিয়েছো।
আর কত কষ্ট দিবা তুমি দিহান ভাই?
,
দিয়া দিহানে সামনে হাটু গেড়ে অনুনয় করতে লাগলো। আর কান্না করতে লাগলো।
,
-কষ্ট??
আমি তোকে কখন কষ্ট দিলাম?
,
-তুমি যেগুলো করো এগুলো কি?
,
-আমি আবার কি করলাম?
,
-না দিহান ভাই তুমি কিছু করোনি।
দিয়া এখন দিহানের সাথে তর্কে জড়াতে গেলো না।
বেশি তর্কে চলে গেলে আবার দিহান কি না কি করে বসে তার ঠিক ঠিকানা নেয়।
তাই চেপে গেলো।
বসা থেকে উঠে আবার দিহান কে বলল,
,
– জানো দিহান ভাই।
কিছু অনুভূতি আছে যেগুলো প্রকাশ করতে মন চাই।
ওভার লোড জিনিস টা বোঝো তো? সেই অনুভূতি গুলো ওভারলোড হয়ে গেলে বের করে দিতে হয়। আমি সেগুলো যে আর চেপে রাখতে পারছিনা।
কিন্তু তোমার এই ভিলেনগিরি সব সময় আমাকে বাধা দেয়। তোমার নামের ফুল গুলো কি কোনোভাবেই পূর্ণতা পাবেনা?
,
-আমার নামের ফুল মানে?
,
দিহানের কথায় থতমত খেলো দিয়া।
মুখ ফসকে কি না কি বলে ফেলেছে।
এখনি কথা ঘুরিয়ে নিতে হবে তা নাহলে দিহান যদি দিয়ার কথার মানে বুঝে যায় তাহলে হয়তো ওকে আরো বড় বড় কষ্ট পোহাতে হবে।
যার কোনো কিছুই দিয়া চায়না।
তাই কথার মোড় ঘুরানোর জন্য বলল,
,
– তুমি আমার মামাতো ভাই।
তোমার প্রতি আমার একটা মায়া আছে না? সেটাই ফুলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিলাম আর কি।
,
-আমি বুঝিনি আমাকে ভালো করে বোঝা।
,
-অন্য কোনোদিন বোঝাবো দিহান ভাই। আমি এখন নিচে যায়।
,
-কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দিস নি তুই?
,
দিয়া দিহানের সাথে এসব ফালতু বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়ত দেখলোনা। তাই ছাদ থেকে নিচের দিকে পা বাড়ালো।
কিন্তু সাইকো থেকে এতো সহজে পার পাওয়া সম্ভব না।
দিয়া উল্টো দিকে ফিরে হাটা দিতেই।
দিহান দিয়ার হাত ধরে হেচকা টান দিলো।
দিয়া নিজেকে সামলাতে না পেরে দিহানের বুকে গিয়ে আছাড় খেলো।
,
দিয়ার দেওয়া ধাক্কা সামলাতে না পেরে দিহানও নিচে পড়ে গেলো।
,
নিচে দিহান আর দিহানের বুকে পড়ে আছে দিয়া। দিয়া সবসময় চায় দিহানের বুকটাতে বাস বাধতে। যে বাসা কোনো ঝড় তুফানেও ভেঙে যাবে না। কারণ দিহান তার ভালোবাসা দিয়ে দিয়াকে আগলে রাখবে।
,
কিন্তু কথায় আছে কিছু স্বপ্ন, স্বপ্ন হিসেবেই মানায়। বাস্তবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কারন আপনি যাকে অনুভুতি প্রকাশ করবেন সে যদি সেটা গ্রহনে না করে তাতে সমস্যা নেয় কিন্তু সেই অনুভূতিটার সম্মান করাটা খুব জরুরী।
যেটা দিহান পারবেনা।।
দিয়ার ধারণা মনের কথা ওকে বললে ঢাক ঢোল পিটিয়ে দিয়াকে সবার কাছে কালার করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
তাই না বলায় রয়ে যাচ্ছে দিয়ার অনুভূতি গুলো।
,
দিহানকে ঘিরে গড়ে ওঠা অনুভূতিগুলো। নিজের ভালোবাসা গুলো।
,
নিজের সুখ খুজতে চেষ্টা করে দিহানের মাঝে। কিন্তু সে কষ্ট ছাড়া কিছুই দিতে পারে না দিয়াকে।

লেখিকা – রাফিজা আক্তার সাথী

………………………………………………………

আপনার লেখা সরাসরি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন  আমাদের এডমিনগণ আপনার লেখা যাচাই বাঁচাই করে আমাদের ব্লগে মূল পাতাই আপনার লেখাটি প্রকাশ করবেন ।

হেড এডমিন এর  ফেসবুক লিংক ।