২টা মেয়ের লাশ কে উলঙ্গ করে টুকরো টুকরো করা হয়েছে কিন্ত পুলিশ মিলাতে পারছে না কার কোন টুকরো,
লাশের পাশে একটি সাদা কাপড় পাওয়া যায়,আর তা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়।একদিন পর ফরেনসিক রিপোর্ট আসলো, মানুষ খুন হলো দুজন কিন্ত সেই কাপড়ে আরো ৫জন মানুষের ব্লাড স্যাম্পল পাওয়া গেছে,
এই নিয়ে পুরো শহর তোলপাড় কে এই
এই খুনি,পুলিশের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে,
কলেজের লেডি বাইকার জেরিন বাপের টাকায় দাপিয়ে বেড়ায় বলতে গেলে জেরিন কলেজে আসার পর থেকে পুরো কলেজে রাজ করছে,একটা মেয়ে হয়ে,,
কিন্ত দেখতে তো মাশাল্লাহ,
আজ এই ছেলে কে ধরে পিটাচ্ছে কাল ঐ ছেলে কে ধরে মারছে,
সব চাইতে হট মেজাজের মেয়ে জেরিন।
আর কলেজের সব চাইতে ভদ্র ছেলে হচ্ছে রাজ মাহমুদ, ছোট নাম রাজ,
কারো দুটো শক্ত করে কথা পর্যন্ত বলে না,
রাজ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সব স্যার ম্যাম খুব আদর রাজ কে.
জেরিন ক্যাম্পাসের এক পাশে বাইক
ডাবল স্ট্যান্ড করে বাইকের উপর শুয়ে ছিলো এমন সময় সেখান দিয়ে রাজ
ব্যাগ কাধে নিয়ে যাচ্ছিলো,,,
জেরিন খেয়াল করলো তাকে সালাম না দিয়ে হুরহুর করে ছেলে টা চলে গেলো,
জেরিন ভাবলো কি রে আমাকে সালাম না দিয়ে চলে যায় কার এত বড় সাহস,
জেরিন চোখ থেকে সানগ্লাস টা খোলে চুইংগাম চিবুতে চিবুতে ডাক দিলো এই নতুন মাল এই দিকে আয়,,
রাজ জেরিনের কাছে আসলো,জ্বি বলুন?
–তুই কি কলেজে নতুন?
–না আপু।
–তাহলে সালাম দিলি না কেন,কোন ইয়ার।
–আমি ফাইনাল ইয়ারের।
–ওহ আমি ৩য় বর্ষের।বাট আমাকে সালাম দিলি না কেন।
-তুমি জুনিয়র?
–এই ছেলে তুই আমাকে তুমি বললে কেনো,বলেই জেরিন রাজের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়,,
আসেপাশে যারা ছিলো তারা হা করে তাকিয়ে ছিলো কারণ রাজ কি এমন করলো যার জন্য, থাপ্পড় খেতে হলো,
-আমি জেরিন আপনি করে বলবি বুঝলি,,,
রাজ গাল চেপে ধরে বলল জ্বি আপু,
রাজ একটি অসহায় ছেলে অসহায় বলতে রাস্তার ছেলে বাবা মা কে তাও জানে না,একটি এতিমখানায় বেড়ে উঠা
রাজের,
কোন রকম টিউশনি নিজের পড়াশোনার খরচ চালায়,
জেরিনের থাপ্পড় খেয়ে রাজ গেলো
নীলা কে পড়াতে,
রাজ চেয়ার টেনে বসতেই নীলা বলে উঠলো স্যার আপনার গালে এটা কিসের দাগ,,,,
নীলা রাজের থুতনিতে হাত দিয়ে বলল।
রাজ- নীলা গাঁয়ে হাত দিচ্ছো কেনো?
নীলা- ওমা এত থাপ্পড় এর দাগ কে আপনাকে মারলো,,
রাজ লজ্জাবোধ করে না না কে মারবে আমায়,
নীলা- কিন্ত স্যার আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি হাতের আঙুলের পাঁচ টা দাগ,