যে স্ট্রাগলের সঙ্গী হতে পারেনি সে মন্তব্য করে কোন অধিকারে ?

বাংলাদেশের একটা অবিসংবাদিত রুল হচ্ছে ক্লাসমেট এবং পরিচিত জনদের Acknowledge না করা।


যদি কোন ক্লাসমেট বা পরিচিত জন ছোট কিছুও করে… তাকে সাপোর্ট না করার অদ্ভুত প্রবণতা আছে আমাদের দেশের মানুষের। কোন ফ্রেন্ড নতুন স্টার্ট আপ করলে বা ছোট ব্যবসা শুরু করলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা শুরু।

যখন কেউ নতুন কিছু শুরু করে, সে সবার আগে সাপোর্ট আশা করে তার ফ্রেন্ড এবং পরিচিতজনদের কাছে… অথচ আমাদের দেশে ব্যাপারটা উল্টো। তাকে সবার আগে যুদ্ধ করতে হয় পরিচিত জনদের সাথে।
মেন্টাল এই যুদ্ধ শেষ করে সে যদি ফ্রাস্ট্রেটেড না হয়ে কন্টিনিউ করে যেতে পারে, তবেই গিয়ে কোন কিছু গেইন করার সম্ভাবনা তার থাকে… নয়তো শুরুতেই শেষ।


আর যদি কোন ক্লাসমেট ভুল করেও রিমার্কেবল কিছু করে বসে, তাহলে বাকিদের তীর মারামারি সেখানেই শুরু… সবাই বলাবলি করে, “ও কিভাবে এটা করলো…?? ওর তো বড় কিছু করার ক্ষমতা কখনোই ছিলো না। ছোটবেলা থেকেই ওকে আমরা দেখে বড় হইসি… ওর রোল নাম্বার ৫০ ছিলো সবসময়। নিশ্চয়ই কোন দুই নাম্বারি করসে। ওর এই পজিশনে যাওয়ার কথা না…!


স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদ এর ক্লাসমেটরাও মে বি উনাকে কখনো ভালো বলে স্বীকার করেন নি… বলার বেলায় গল্প করেছেন এভাবে,

“আরে ও আর এমন কি লিখে… স্কুলে থাকতে আমি আরো ভালো লিখতাম… এসব আজেবাজে জিনিস লিখে কোন লাভ নাই। তাই ছেড়ে দিসি… স্কুল-কলেজে ওকে আমরা কেউ পাত্তা দিতাম না… এজন এসব অখাদ্য লিখতেসে টাকার জন্য।”


If you don’t like what your friends are doing, simply ignore… তার কাজে আপনারা একটা পয়সাও ইনভেস্ট করেন নাই, সে যা করতেসে আপনাকে ইমপ্রেস করার জন্যেও করতেসে না।


সো, প্রশংসা বা সাপোর্ট করতে না পারলে করিয়েন না… উল্টা বদনাম করে, প্রেশারাইজ করে তাকে বরবাদ করে দিয়েন না এটলিস্ট।
যে স্ট্রাগলের সঙ্গী হতে পারেনি, সে মন্তব্য করে কোন অধিকারে? লজ্জা হয়না!