সময়টা হয়তো রাত ১২ টা হবে।
,
রিতুকে টেনে হেচড়ে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে এসেছে রিমন। রিতু এখন ঘুমে আছে অথবা অজ্ঞান। রিমন কোনোভাবেই তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারছেনা। গায়ের শার্টটা দিয়ে পেট ভালো মত বেধে রেখেছে তবুও রক্ত বন্ধ করতে পারছেনা। রিমনের চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু টু শব্দ করতে পারছে না।
,
তন্দ্রা কাটিয়ে রিতু রিমন কে বলল,
দোস্ত আমি যদি মারা যায় তাহলে তুই যেন কাদিস না।
খুব ইচ্ছা ছিলো নিজের হাতে তোর বউকে সাজিয়ে দেব। কিন্তু বিধাতা হয়তো আমার কপালে তার কিছুই লিখিনি।
,
রিমন রিতুর মাথাটা বুকে জড়িয়ে নিলো,
তোর কিচ্ছু হবে না দেখিস। আমার বউকে তুই সাজিয়ে দিবি। তুই আমাকে কথা দিয়েছিলি আজীবন আমার পাশে থাকবি। তাহলে আজ কেন চলে যাবি আমাকে একা ফেলে?
,
রিতুর দিকে তাকাতেই দেখলো আবারও জ্ঞান হারিয়েছে।
,
কিছুক্ষণ পর আবার রিতু চোখ মেলে তাকালো।
,
আচ্ছা দোস্ত মৃত্য কি খুব কষ্টের হয়?
,
কথাটার জবাব রিমন কিভাবে দিবে তার জানা নেয়।
,
তোর কিচ্ছু হবে না রিতু। রিমন যতদিন বেচে আছে তোর কিচ্ছু হবে না। আমার শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকা কালীন তুই বেচে থাকবি। (কান্না করতে করতে রিমন কথা গুলো বলতে থাকে)
,
,
কিছুক্ষণ আগে,
,
রিতুর কাকা সম্পত্তির লোভে রিতুর বাবা না আর ভাইয়াকে মেরে ফেলে।
রিতুকেও মারার জন্য দরজা ধাক্কা দিতে থাকে। কিন্তু রিতু কিছুতেই দরজা খোলে না।
এখন একোটাই চিন্তা বাচতে হবে। তাই প্রাণের বন্ধু রিমন কে কল দিয়ে বলে, “ওরা আমার মাবাবা আর ভাইয়াকে মেরে ফেলেছে। আমাকেও মেরে ফেলবে। আমি দরজা আটকে ঘরে বসে আছি। দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। তুই আমাকে বাচা রিমন।”
কথা শেষ হতেই দরজা ভেঙ্গে রিতুর চাচা আর চাচাতো ভাই রিহাম ঢুকে পড়ে।
,
খুব ইচ্ছা ছিলো নিজের ছেলের বউ করবো তোমাকে। কিন্তু তোমার বাবা নাকি আমার মাতাল ছেলের সাথে তোমাকে বিয়ে দিবেনা।
তাই সম্পত্তি পাওয়ার এই একটাই উপায় ছিলো।
,
কাকু তুমি কি মানুষ সামান্য সম্পত্তির জন্য নিজের ভাই ভাবি আর ভাইপো কে মেরে ফেললে?
বাবাকে একবার বলেই দেখতে সব খুশি খুশি তোমাকে দিয়ে দিতো।
,
কিন্তু সেটা হতো করুণা, ভিক্ষা।
আর এটা হলো ক্ষমতা। একবার ভাবছিলাম তোমার বাবা মাকে মেরেছি তো কি হয়েছে তোমাকে মারবো না।
ছেলের বউ করবো এতে তোমার ইচ্ছা থাক বা না থাক।
কিন্তু আবার ভাবলাম যদি তুমি পুলিশকে সব ঘটনা বলে দাও তাহলে তো আমদের বিপদ।
নিজেদের বিপদ কিভাবে ডেকে আনি বলো! তাই তোমাকেও যে মারতে হবে মামুনি।
,
রিতুকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পেটে ছুরির আঘাত করে।
রিতুর দেহটা যখন লুটিয়ে পড়ে তখন ওরা রিতুর বাবার রুমে গিয়ে প্রোপার্টির সমস্ত পেপার খুজতে থাকে।
এই ফাকে রিমন এসে পড়ে। মেইন দরজা দিয়ে ঢুকলে ঝামেলা হবে তাই পিছনের প্রাচির টপকে বাসার ভিতর ঢুকে পড়ে। চুপিচুপি রিতুর ঘরে গিয়ে দেখে ওর দেহটা মেঝেতে লুটিয়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখে এখনও নিশ্বাস নিচ্ছে।
,
রিতুর কাকারা হয়তো বিষয়টা খেয়াল না করেই ওকে ফেলে চলে গেছে। তখন যদি বুঝতে পারতো বেচে আছে তাহলে হয়তো আরো আঘাত করতো।
,
রিমন ওর দেহটা ঘাড়ে নিয়ে চুপিচুপি বের হয়ে যায়। কিন্তু ভুল একটা মানুষকে নিয়ে দেয়াল টপকে যাওয়া সম্ভব না তাই মেইন দরজা দিয়ের বের হতে যায়।
,
এর ভিতর রিতুর কাকারা প্রোপার্টির কাগজ খুজতে গিয়ে আর এদিকটায় খেয়াল করে নি।
,
এই ফাকে রিমন রিতুকে নিয়ে বের হয়ে যায়। কিন্তু ওর কাকা কি ভেবে আবার ওর ঘরে এসে রিতুকে গায়েব দেখে হন্নে হয়ে খুজতে লাগে। বাসার গেইটের দিকে চোখ পড়তেই দেখে কেও রিতুকে ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছে।
তাই ওদের পিছু নেয়।
,
রিমন বিষয়টা বুঝতে পারে তাই।
রাস্তায় না গিয়ে জঙলের দিকে দৌড়াতে থাকে।
আর রিতুর কাকা এবং কাকাতো ভাই রিহাম পিছু নিতেই থাকে।
,
একজনের দেহ নিয়ে দৌড়ানো খুব কষ্টের তবুও। ফ্রেন্ডকে বাচানোর চিন্তায় আছে শুধু রিমনের মাথায়।
,
হঠাৎ কিছু একটাই হোছট লেগে রিমন পড়ে যায়।
পায়ে অনেকটা কেটে যায়। এই অবস্থা আর পালানো সম্ভব না তাই রিতুকে টেনে হেচড়ে পাশের ঝোপে নিয়ে লুকিয়ে থাকে। আর রিতুর কাকারা ওদের খুজতে থাকে জঙ্গলে।
,
বর্তমানে,
তোর কিচ্ছু হবে না রিতু।
রিমন যতদিন বেচে আছে তোর কিচ্ছু হবে না। আমার শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকা কালীন তুই বেচে থাকবি। (কান্না করতে করতে রিমন কথা গুলো বলতে থাকে)
,
রিতুর দিকে তাকিয়ে দেখে আবারও জ্ঞান হারিয়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় এই জঙ্গল থেকে কিভাবে বের হবে রিমন। এদিকে রক্ত বের হতে হতে রিতুর অবস্থাও শোচনীয়। আবার রিতুর কাকারাও এই জঙলের ভিতরেই হন্নে হয়ে তাদের কে খুজে চলেছে। একটু আগেও রিমন কারো পায়ের শব্দ পেয়েছে।
,
আজকে নিয়তির কাছে হয়তো হেরে জেতেই হবে রিতু-রিমন কে।
দুজনের সব কথা শেয়ার করলেও মনের কোঠরে থাকা ছোট্ট অনুভূতি গুলো কেও কাওকে জানায় নি। আর তা হলো রিতু আর রিমন একে অপরকে পাগলের মত ভালোবাসে। বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার ভয়ে কেও নিজেদের ভালোবাসাটা প্রকাশ করেনি কোনোদিন।
,
কিন্তু আজকে হয়তো জীবনের শেষ দিন। রিমনের খুব ইচ্ছা করছে। মরার আগে একবার বলে দিতে।
তুমি ছাড়া আমি কিছুই না
ভালোবাসি তোমাকে আজীবন রিতু
আমাকে কি ভালোবাসবে না?
কিন্তু রিতুর তো জ্ঞান ফিরছে আর চলে যাচ্ছে ও কি কিছু বুঝবে যদি বলি ভালোবাসি?
দোস্ত কাওকে ভালোবাসলে কিভাবে বলতে হয় জানিস নাকি?
,
আবার হঠাৎ চোখ মেলল রিতু।
,
তুই চোখ বন্ধ করবিনা বলে দিচ্ছি আমার দিব্যি।
,
আমি আবার চোখ কখন বন্ধ করলাম?
রিমন বুঝতে পারছে রিতু কখন চোখ বন্ধ করছে কখন খুলছে ও নিজেই বুঝতে পারছেনা তাই এই কথা বলছে।
,
নিয়তির কাছে হেরে গেলে আর কোনোদিন হয়তো আর বলায় হবে না ভালোবাসি।
কেন বলতে পারিস রিমন। আমার ভালোবাসাকে একবারও বলতে পারিনি তাকে ভালোবাসি।
সত্যি বলছি আজ মরে যাচ্ছি বলে কষ্ট হচ্ছেনা, কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে যে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে কোনোদিন জানাতেই পারবোনা তাকে ভালোবাসি।
,
রিতুর কথা শুনে রিমনের মন যেন মেশিন গানের গুলি দিয়ে ঝাজরা হয়ে গেলো।
,
রিতু কি তাহলে অন্যকে ভালোবাসে। কথাটা মনে হতেই চোখ থেকে কয়েক ফোটা অশ্রু রিতুর মুখের উপর পড়লো।
,
তুই কাদছিস কেন। আমি তো এখনো মরে যায় নি। এখনই যদি এতো কাদিস আমি মরার পর কাদবি কিভাবে?
,
রিতুর কথা শুনে রিমনের চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু চিৎকারের শব্দ শুনে যদি রিতুর কাকা ওদের ধরে ফেলে।
তাই নিজের মুখচেপে কান্না আটকে রাখছে রিমন। কি
,
,
রিমনের এখনই রিতুকে নিয়ে এই জঙ্গল থেকে পালাতে হবে যত কষ্টই হোক না কেন।
নিজের জীবন চলে গেলেও নিজের ভালোবাসাকে বাচাবেই রিমন।
,
যদিও এই কঠিন মুহূর্তেও একবার রিতুকে ভালোবাসি বলতে চেয়েছিলো।
কিন্তু রিমন তো মনে মনে ভেবেই নিয়েছে যে রিতু অন্যকাওকে ভালোবাসে।
তাই সে তার মনের কথা আর বলবে না। রিতুকে বাচিয়ে রাখবে।
যেন রিতু নিজের ভালোবাসার মানুষকে বলতে পারে তার ভালোবাসার কথা।
কিন্তু রিমন তো এটাই জানে না যে সে নিজেই রিতুর সেই ভালোবাসার মানুষ যাকে নিয়ে রিতুর ছোট্ট মনটাই হাজারো স্বপ্ন।
প্রিয় বন্ধুটা একদিন প্রিয় মানুষ হবে একটা প্রিয় বন্ধনে যে বন্ধন মৃত্যুতেও ভাঙবে না।
,
,
পায়ে ক্ষত থাকা সত্ত্বেও এখনই সুযোগ বুঝে পালাতে হবে রিতু রিমনকে।
রিতু রিমন বললে ভুল হবে।
রিতুকে নিয়ে রিমন পালাবে। নাহলে সকালে রিতুর কাকা সহজে ওদের ধরে ফেলবে।
তাছাড়া বাকি রাতটা এখানে থাকলে হয়তো রিতুর প্রাণ পাখিটাও খাচা ছেড়ে পালিয়ে যাবে।
,
,
রিতুকে আবারো ঘাড়ে নিয়ে চলতে লাগে রিমন।
এভাবে এখানে বসে থাকলেও তো মরতে হবে।
তাই বিধাতার সাহায্য প্রার্থনা করে ধীর পায়ে চলতে লাগলো রিমন। ছোট্ট ছোট্ট আঘাতে কাতর হয়ে যাওয়া রিমন যেন নিজের পায়ের ক্ষতটা দেখতেই পাচ্ছে না।
রিতুকে বাচানোই তার আসল উদ্দেশ্য।
একজীবনে যদি নিজের ভালোবাসাকে নায় বাচাতে পারে তাহলে তার থেকে বড় ব্যার্থতা আর কিছু নেয়।
,
অনেক্ক্ষণ হাটতে হাটতে আশার আলো দেখতে পেলো রিমন। হাই রোড পেয়ে ঈশ্বরের কাছে হাজারো শোকর আদায় করতে থাকে রিমন।
এই রাস্তা ধরে এখন গ্রামের দিকে যেতে হবে।
হঠাৎ একটা ট্রাক দেখতে পাই রিমন। রিমন হাতের ইশারা দিয়ে ইফট চায়।
ট্রাক ওদের সামনে এসেই থেকে যায়। ড্রাইভার ওদের এই অবস্থা দেখে দ্রুত গাড়িতে তুলে নেয়।
,
,
রিমনের কাছে সমস্ত ঘটনা শুনে নেয় ড্রাইভার।
,
আপনাদেত এই মুহুর্তে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাহলে হয়তো পুলিশি ঝামেলায় পড়তে পারেন। তার থেকে বরং আমার গ্রামে চলুন। আমার বাবা একজন ডাক্তার। তিনি সব ব্যবস্থা করতে পারবে।
,
লোকটার কথা শুনে রিমনের চোখ বেরিয়ে আসার মত অবস্থা। একজন ডাক্তার এর ছেলে হয়েও সামান্য ট্রাকের ড্রাইভারি করে লোকটা।
,
রিমনের মনের কথাটা হয়তো বুঝতে পেরেছে,
,
নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন আমি ডাক্তারের ছেলে হয়েও কেন একোটা ট্রাক চালাই। অবাক লাগতেই পারে ডাক্তারের ছেলের ডাক্তার না হয়ে কেন ড্রাইভার হলো? আসলে আমি প্রোফেশনাল ড্রাইভার না।
আমাদের ড্রাইভারটা একটু অসুস্থ তাই কাচামাল শহরে ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলাম নিজেই। শখের বসে এটা শিখে রেখেছিলাম। আজকে কাজে লেগে গেলো। শুধু কাজে লেগে গেল বললে ভুল হবে। আপনাদের সাহায্য করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
ও হো আমি তো আমার পরিচয় দিতেই ভুলে গেছি। আমি আমান গ্রামে কাচামালের সাপ্লায়ার বলতে পারেন। গ্রাম থেকে কিনে শহরে ডেলিভারি দিই।
,
রিমন রিতুকে বুকে নিয়েই গাড়ির ছিটে বসে আছে। আমান কি বলছে না বলছে সব কথা মাথা যাছে কি না যাচ্ছে বোঝা দায়। ওর ভাবনা কেবল রিতুকে নিয়ে।
,
,
রিতুকে নিয়ে আমানদের বাড়িতে পৌছালে।
সবাই ধরাধরি করে রিতুকে একটা ঘরে নিয়ে যায়।
ঘরটা টেম্পরারি অপারেশন থিয়েটার বলা চলে।
আমান আগে থেকে ফোন করে দিয়েছিলো তাই সব কিছু রেডি করে রাখে আমানের বাবা।
রিতুর অপারেশন সাকসেস হয়।
কিন্তু প্রচুর পরিমান রক্ত লাগে।
যা আমানের প্রতিবেশীরা দান করেছিলো।
রিমন এই মানুষ গুলোকে যত দেখছে তত অবাক হচ্ছে।
চেনা নায় জানা নায় অচেনা একজনের প্রতি মানুষের এতোটা মায়া থাকতে পারে।
,
আমানের হঠাৎ রিমনের কথা মনে হয়।
,
আপনি এখন এই অবস্থায় দাড়িয়ে আছেন?
আসলে আমারই ভুল হয়েছে। তাড়াহুড়ায় আপনার স্ত্রীকে দেখতে গিয়ে কিছুই মনে নেয়।
,
রিমন রিতুকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয় যাতে আলাদা কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়।
,
,
তিন ঘন্টা পর রিতুর জ্ঞান ফেরে। চোখ খুলেই পাশে রিমন কে না দেখতে পেয়ে মনে করে ওরা ধরা পড়ে গেছে। তাই রিতু চিৎকার দিয়ে ওঠে। কিন্তু পরে ক্ষনে রিমন কে দরজা দিয়ে ঢুকতে দেখে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে।
,
রিমন এ যাত্রায় হয়তো বেচে গিয়েছি। সামনে কি বিপদ আছে উপর আলা জানে। আমি আমার মনের কথা তোকে বলে দিতে চাই। তোকে ভালোবাসি কথাটা বলতে পারলেই আমার জীবন সফল।তারপর কেও মেরে ফেললেও কষ্ট থাকবেনা। (রিতু মনে মনে বলতে থাকে)
,
জীবনে তোকে পাওয়া মানেই সুখ এমন কোনো কথা নেয়। তোকে তোর ভালোবাসার মানুষের সামনে নিয়ে দাড় করিয়ে তোর মনের কথা তাকে বলতে সাহায্য করা পর্যন্ত আমার দায়িত্ব শেষ।
,
সকালে,
রিতু সুয়ে আছে আর রিমন পাশে বসে আছে।
,
হুড়মুড় করে আমান ঘরের ভিতর ঢুকলো,
,
আপনার কাকা কোনো ভাবে খোজ পেয়েগেছে যে আপনারা এখানে এসেছেন। সাথে করে পুলিশ নিয়ে আসছে। আর বলছে আপনি আর আপনার হাসবেন্ড মিলে আপনার বাবামা আর ভাইয়াকে মেরে ফেলেছেন সম্পত্তির লোভে।
,
আমানের কথা শুনে রিতু কাদতে থাকে। নিজের বাবাকে কেও কিভাবে মারতে পারে। কাকা এতোটা নিচে নামলো কিভাবে।
,
আপনি চিন্তা করবেন না। আমি তো সব শুনেছি কি হয়েছে না হয়েছে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিন। সিলেটে আমার এক মামার বাসা আছে সেখানে রওনা দিবো।
,
আমান, রিমন আর রিতু আমানদের বাড়ির পিছনের গেইট দিয়ে বের হয়ে গেল। ঢাকা থেকে সিলেট উদ্দেশ্য বের হয়ে যায় আমানের প্রাইভেট কার নিয়ে। রিতুর খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু বেচে থাকতে এতো টুকু কষ্ট তো করতেই হবে।
,
পথ মধ্যে,
,
রিতু আমানকে জিজ্ঞাসা করলো,
আমরা যেখানে যাচ্ছি সেই জায়গাটার নাম কি?
,
বিজয় নগর।
,
কথা বলতে বলতে আমান খেয়াল করেয়নি সামনে বড় একটা ট্রাক আসছে। নিজের গাড়ি সাইড করার আগেই ট্রাকটা এসে ধাক্কা দিয়ে দেয়। আমান গাড়ি থেকে ছিটকে বের হয়ে যায়। কিন্তু রিতু আর রিমন গাড়ি থেকে বের হতে পারে না। ফলে গাড়ির মধ্যেই পিষে যায় দুজনে।
বলাই হয়ে ওঠেনা দুজনার না বলা ভালোবাসার কথা। সুপ্ত ভালোবাসা চ্যাপ্টা হয়ে পড়ে থাকে গাড়ির ভিতর। ছিটকে বের হওয়ার ফলে আমান বেচে গেলেও রিতু আর রিমনের স্পট ডেথ হয়ে যায়।
২য় পর্ব জলদি পাবেন।
বানান ভুল হলে মাফ করবেন। ধন্যবাদ।
লেখিকা – রাফিজা আখতার সাথী
………………………………
আপনার লেখা সরাসরি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের এডমিনগণ আপনার লেখা যাচাই বাঁচাই করে আমাদের ব্লগে মূল পাতাই আপনার লেখাটি প্রকাশ করবেন ।