গতকাল রাতে বেবিরে নিয়ে একটা মিষ্টি স্বপ্ন দেখে ওরে মেসেজ দিলাম,
“বাবু কি করো?”
একটু দেরিতে রিপ্লাই আসলো,
“এখনও জেগে!”
“না মানে তোমাকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেলো।”
“হুম।”
“দেখি কি জানো? আমরা বিয়ে করছি। আমাদের ছোট একটা সংসার। দুজনে মিলেমিশে কাজ করছি।”
“হুম।”
“আমি হাতে হাতে তোমাকে মশলা বেটে দিচ্ছি, কাপড় ধুয়ে দিচ্ছি। তুমি রান্না করছো।”
“হুম।”
“আমাদের দুইটা মেয়ে। সাঈদা আর সাহিদা । খুব দুষ্টু । সারাদিন মারামারি করে।”
“হুম।”
“আরে কখন থেকে হুম হুম করছো। তোমার মনে হয় ঘুম পাইছে সোনা।”
“হুম।”
“আচ্ছা বাবু ঘুমাও। কাল কথা হবে।”
বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে নাশতার টেবিলে বসছি। বোন বললেন,
“কি সাঈদার আব্বা, দিনকাল কেমন চলছে? সাঈদা,সাহিদা নাকি সারাদিন মারামারি করে?”
“জ্বী বোন,আমাকে বলেন?”
“সাঈদার বাপতো তুমি। তো তোমাকেই বলি।”
মা বললেন,
“এইসব কি উলটা পালটা কথা বলতেছ ?”
“আরে শোনো,অভিনন্দন তোমাকে। তুমি নানি আর আমি ফুফি হইছি।
সাঈদ মারুফের দুইটা দুষ্টু মেয়ে হইছে। সারাদিন মারামারি করে।”
“কি বলছো!”
“আর তোমার ছেলে তো অনেক সংসারি। কি সুন্দর মসলা বাটে কাপড় কাঁচে।”
“এই,তোর শরীর ঠিক আছে তো!”
“হুম। শরীর ঠিক আছে। লকডাউনের জন্য তো বুয়াদের ছুটি দিছো । একা একা কাজ করে তুমি। ওরে দিয়ে এসব করাতে পারো তো।”
আমি তোতলাতে লাগলাম,
“মানে মানে”
“হুম, নাশতা খেয়ে আগে কাপড় কাঁচবি । তারপরে শিলপাটায় মসলা বাটবি। দেখি কত মিহি করে মসলা বাটিস।”
ধরা খাইছি। কাল ঘুম চোখে বেবিরে মেসেজ দিতে গিয়ে বোন কে মেসেজ দিছি। আমার কি দোষ। দুজনেই নীল অপরাজিতা ফুলের ছবি দিয়া আইডি খুলছে।
শিলপাটাত পিঁয়াজ বাটছি আর চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরছে। আর মনে মনে অপরাজিতা ফুলরে অভিশাপ দিচ্ছি। ঠিক করলাম আজই যদি বেবি প্রোফাইল পিক চেঞ্জ না করে তো সংসার শেষ।
ওরে আজকেই তালাক তালাক 😛 😛
………………………………
আপনার লেখা সরাসরি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের এডমিনগণ আপনার লেখা যাচাই বাঁচাই করে আমাদের ব্লগে মূল পাতাই আপনার লেখাটি প্রকাশ করবেন ।