আজ আমার বাসর রাত অথচ আমি ছাদে বসে আছি। কিছুই যেন ভালো লাগছে না। অনেক্ষন ছাদে থাকার পর আমি রুমের দিকে গেলাম। দড়জা খুলার আগে ভাবলাম রুমে ঢ়ুকবো নাকি ঢ়ুকবো না। অনেক্ষন ভাবার পর দড়জা টা খুললাম। এবং রুমে প্রবেশ করলাম। রুমে ঢ়ুকে দেখি আমার বড় আপু কাদঁছে।ও ছরি বড় আপু না যদিও সে এখন আমার বউ, আপনারা কিছুই বুঝতে পারছেন না তাইনা,,?
দাড়ান আগে ক্লিয়ার করি,,আমার নাম সাফিন কনো রকম ইনটার পাশ করি। তার পর আর পড়া লেখা করার সুযোগ হয়নি। আমার খালাতো বোন ও আমার এক বছরের বড়। ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে। খুব সুন্দর একটা ছেলের সাথে। আর আজ ওর বিয়ে। আমরা পুরো পরিবার ওর বিয়েতে দাওয়াত খেতে গেলাম। বিয়েতে অনেক হই চই বেশ মজায় আছি।গায়ে হলুদে অনেক মজা করলাম। অনেক আনন্দ করলাম।ওহ ভুলেই গেচিলাম আমার খালাতো বোনের নাম জবা। আমি আর জবা বেশ বন্দুর মতোই চলি। যখন ওদের বাড়ি যাই আমরা দুযোন বেশ বন্ধুর মতো কথা বলি। যদিও আমি ওকে আপনি করেই বলি। ও দেখতে সামলা তবে যেন ওর মুখে একটা মায়া আছে। তার পর আমরা ওর বিয়ের হলুদ শেষ করে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম। তার পর খালু বললো যাওতো বাবা একটু কমিনিটি সেন্টারে দেখাশুনা করো। আমি তার পর কমিনিটি সেন্টারে চলে গেলাম। সেখানে নানান ধরনের রান্না বান্না হচ্ছে তাদের হেল্প করলাম কিছু দরকার হলে এনে দিলাম।তার পর প্রায় ১২ টা বেজে গেলো সবাই কমিনিটি সেন্টারে আসতে শুরু করলো। এর বেশ কিছুক্ষর পর জবাও এলো।বিয়েতে যদিও সবাই লাল শাড়ি পরে জবার নীল রং পছন্দ তাই সে নীল রংয়ের একটা শাড়ি পরেই এলো। নীল রঙের শাড়িতে জবাকে মানে আমার বড় আপুকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে। তার পর খাওয়া দাওয়া শুরু হলো সবাই খেতে শুরু করলো। আমি কমিনিটি সেন্টারে অনেক্ষন কাজ করছি তো তাই ক্ষুদা লেগে গেছে। আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিলাম। তার পর জবার স্ট্রেজের সামনে গেলাম গিয়ে দেখি সবাই জবার ছবি তুলছে। আমিও কয়েক কপি ছবি তুলে নিলাম।সবাই এখন বর এর অপেক্ষায় বসে আছে। আরে আযব বর আসতে এতো দেরি কেন হচ্ছে। সময় প্রায় দুইটা পার হয়ে গেলো কিন্তু বর এখনো আসছে না। খালু ফোন দিলো নাম্বার বন্ধ বাতাচ্ছে। সবাই যেন হইচই করে দিলো। আমিও বেশ চিন্তায় আছি। কি বেপার। বর এখনো আসছে না কেন,,?
প্রায় তিন টা বেযে গেলো এমন সময় খালুর মোবাইলে হটাৎ একটা কল আসে। তার পর খালুর চোঁখে জেন জল চলে আসলো। সবাই খালুকে জিগ্গাস করলো কি হয়েছে। খালু যেন কনো কথাই বলতে পারছে না। তার পর বললো আমার মেয়ে বিয়ের আগেই বিধোবা হয়ে গেছে,। খালুকে যে কি বলে শান্তনা দিবো কনো ভাসাই খুজে পাচ্ছি না। তার পর জবার দিকে গেলাম গিয়ে দেখি খবর টা শুনে জবা যেন পাথর হয়ে গেছে। পাথর হওয়ারই কথা। সব আনন্দ সব খুশি যেন শেষ হয়ে গেছে। সব মেহমানরা নানান বাজে কথা বলতে শুরু করলো। এই যেমন এই মে ভালো না, অলক্ষি, বিয়ের আগেই জামাই মরে গেছে ইত্যাদি এসব কথা শুনে আনেক খারাপ লাতে শুরু করলো। কি হতে কি হয়ে গেলো। আমার সব চেয়ে বেশি খারাপ তখনই লাগছিলো যখন সবাই জবাকে নি ট্রল সুরু করলো।আরে এতে জবার কি দোষ। সবাই বলছে যে জবাকে আর কেউ বিয়ে করবে না। ট্রোল করতে করতে সব মেহমান রা চলে গেলো, খালুর দিকে যেন তাকানোই যাচ্ছে না। খালু শোখে যেন পাথর হয়ে গেলো। সব মেহমান চলে গেলো সেন্টার পুরো যেন খালি হয়ে গেলো। সামান্য কিছু মেহমান আছে যারা খালুর পরম আত্তিও,
খালু আমার বাবাকে যড়িয়ে কাদঁতে শুরু করলো। বাবা কনো শান্তনাই দিতে পারছে না। এখন জবাকে কে বিয়ে করবে এই বলে খালু কাদঁছে। হটাৎ আমার বাবা বললো,,বাবাঃ আরে ভাই কাদ্ঁবেন না,,খালুঃ কাদাঁ ছাড়া আমার কি আর উপায় আছে?বাবাঃ আপনার মেয়ে কে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবেন।খালুঃ আমার মেয়ে কে এখন কে বিয়ে করবে,,?বাবাঃ,,,,,,,,,, (নিস্চুপ,,)খালুঃ আমার সব শেষ,,।বাবাঃ আপনার মেয়ে কে আমার ছেলে বিয়ে করবে।খালুঃ মানে কি,,এটা কি সম্ভব,,আর আপনার ছেলে কি আমার মেয়ে জবাকে বিয়ে করবে,,?বাবাঃ আমি বললে সব করবে,,,আপনি কি রাজি কিনা তাই বলুন,,?খালুঃ,,,,,,(হ্যা মুলোক মাথা নাড়ালেন)আমি তাদের কথা শুনে তো পুরো অবাক। বাবা বললো যা রেডি হয়ে আয়। আমি কিছুই বললাম না। আমি কনো দিনও বাবার কথা ফেলি নি। তাই বলে বাবা আমার জীবন নিয়ে তো খেলতে পারে না। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। তার পর বাবা আমার বন্ধুদের বললো যাও সাফিন কে রেডি তরে নিয়ে আসো। আমার বন্ধুর নাম সিহাব। সিহাব আমার বোস্ট ফ্রেন্ড। সিহাব ও হ্যা মুলক মাথা নাড়ালো।মনে মনে বাবার ওপর অনেক রাগ হচ্ছে কোথায় একটু সাধিন ভাবে জীবন কাটাবো। তা না আমার ঘাড়ে একটা চাপিয়ে দিচ্ছে। সিহাব কে জিগ্গেস করলাম কি করবো,,? সিহাব কিছুই বললো না। তার পর মা এসে আমাকে বললো দেখ বাবা আমি জানি তোর মনে কি চলছে। কিন্তু কি করবি বল আজ পর্জন্ত তোর বাবার কথা কেউ নাড়াতে পারে নি।তার পর আমারে বর সাজিয়ে বিয়ের স্ট্রেজে নিয়ে গেলো।আমি জবার দিকে তাকালাম। ও কিছুই না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবলাম আমার জীবন টাই শেষ।তার পর বিয়ে শেষ করে আমাকে জবার পাশে বসিয়ে একটা গাড়িতে করে আমাদের বাড়ি নিয়ে চলে আসলো।,,আজ আমার বাসর রাত তাও আবার বড় আপুর সাথে। কি করি বুঝতে পারছি না। জবা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি ছাদে দাড়িয়ে আছি। বাসর করার যেন ইচ্ছাই নাই। একটু পর সিহাব এসে আমাকে নিচে নিয়ে গেলো। তার পর সবাই বলছে আমাকে বাসর ঘরে ঢ়ুকতে কিন্তু আমি ঢ়ুকছি না। অনেক্ষন সবাই চেষ্টা করলো আমাকে বাসর ঘরে ঢ়ুকাতে সবাই ব্যার্থ হলো। একটু পর বাবা এলো।বাবা,,সাফিন ভিতরে ঢ়ুক,, বাবার কথা কনো দিনও ফেলি নি,, তাই ঢ়ুকতে বাধ্য হলাম
বাসর ঘরে ঢ়ুকে দেখি জবা বসে আছে, যদিও অকে অনেক সুন্দর লাগছে তবে তার সাথে বাসর করার কনো ইচ্ছাই আমার নেই। আমি জবাকে বললাম এইজে ঘুমিয়ে পড়ুন, জবা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, ওর মুখটা দেখে মনে হচ্ছে যেন নিস্পাপ একটা মুখ, ও আমার দিকে তাকিয়েই আছে,;
আমি জানি আমার এমন ব্যবহার এ জবার ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে। কারন মেয়েরা বাসর রাত নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে।নিস্চয় জবাও বাসর রাত নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছে, কিন্তু আমার কিছুই করার নাই। আমি জবাকে বউ হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবা আমাকে জবাকে বিয়ে করতে বাদ্য করেছে। আমি জীবনেও ভাবিনি জবা আপুকে আমাকেই বিয়ে করতে হবে। বাসর রাতে সবাই দু রাকাত নামাজ পরে কিন্তু আমিরপরছি না। কারন আমি জবার সাথে বাসর করবো না। একটা পাটি আর একটা বালিশ নিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়লাম। অনেক্ষন ছট ফট করার পর মাত্র চোখটা লেগে এলো। এমন সময় কেউ একজন যেন আমার পাশে বসলো,। চোখ মেলে দেখি সে আর কেউ নয় জবা,,আমিঃ কি ব্যাপার ঘুমান নি,,,?জবাঃ,,,, (না জবাব মাথা নাড়ালো)আমিঃ কিছু বলবেন,,?জবাঃ,,,,, (নিচ্সুপ)আমিঃ আরে কথা বলছেন না কেন,,?জবাঃ তুমি এখানে কেন ঘুমাচ্ছ,,?আমিঃ আমি এখানে ঘুমাচ্ছি কারন আপনার সাথে বাসর করার কনো ইচ্ছা আমার নেই,,,,জবাঃ আমি কি দোষ করছি,,?আমিঃ আরে কি দোষ করছেন মানে,,?; আমার জীবনের পুরাই বারটা বাজাই দিচেন,,,,,জবাঃ,,,,,,,, (নিস্চুপ)আমিঃ অনেক রাত হলো যান ঘুমিয়ে পড়ুন,,,জবাঃ না তুমি খাটে ঘুমাও আমি বরং এখানে ঘুমাই,,,আমিঃ এই যে আমাকে দরদ দেখাতে আসবেন না,, যান ঘুমিয়ে পড়ুন,,(চিৎকার মুলক কথাটা বললাম)জবাঃ নামাজ পরবেন না,,?আমিঃ কিসের নামাজ,,?জবাঃ বাসর ঘরে দুরাকাত নামাজ পড়ে জানেন না,,?আমিঃ ওই আপনি কি পাগল,,?; কিসের বাসর,,? যান ঘুমিয়ে পড়ুন,,,(অনেক চিৎকার করে কথা গুলো বললাম)তার পর জবা কেদেঁ দিলো আর আমার পাশ থেকে উঠে চলে গেলো। আমি জানি জবার মোনটা কষ্টে ফেটে জাচ্ছে। জবা যখন কাদঁছে ওর সুন্দর্য টা যেন আরো বেড়ে গেলো। অকে তখন অনেক মায়াবি লাগছে, জবা বিছানায় গিয়ে অনবরত কাদঁছে। ওর কান্নার জন্য আমার ঘুম আসছিলো না। তার পর আমি উঠে বসলাম। জবার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলামআমিঃ আরে সমস্যা কি আপনার,,?জবাঃ,,,,,,,( নিস্চুপ)আমিঃ আপরার যন্য তো দেখছি ঘুমাতেই পারবো না।জবাঃ সরি,,,,,,( কান্নাঁ সুরে)আমিঃ হয়েছে আর নাটক করতে হবে না,, ঘুমিয়ে পড়ুন,জবাঃ,,,,,,(নিস্চুপ)আমিঃ দুর ঘুমাবোই না। আমার কপাল থেকে সুখটাই চলে গেছে,, তার পর রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলাম। হাটা সুরু করলাম বাইরে অনেক চাঁদের আলো। হাটছি আর ভাবছি যে আমি এক মাত্র ব্যাক্তি যে বাসর রাতে বউ কে ঘরে রেখে বাইরে হাটা হাটি করছি। আমিরকি করবো আমি তো জবা কে সব সময় বড় আপুর চোঁখেই দেখছি। সো তাকে বউ ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আমার ও তো একটা স্বপ্ন থাকতে পারে।হাটতে হাটতে একটা টংয়ের দোকানের সামনে গেলাম। রাস্তায় কেউ নেই তভুও দেখি এই দোকান খোলা রাত প্রায় একটা বাজে। মামা দেকে দোকানদার কে বললাম এক কাপ চা দিতে। যখন আমার কনো কিছু ভালো লাগে না তখন আমি চা টা একটু বেসিই খাই। তার পর হটাৎ সিহাবের কথা মনে পড়লো। সিহাব কে কল দিয়ে দেখি ও কলটা রিসিভ করে না।মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে।আচ্ছা যাই হোক চা খেয়ে আবারও হাটতে সুরু করলাম আর ভাবছি। আরে জবার তো কনো দোষ নেই। আর ওতো আমায় পছন্দও করতো না। পরিস্থিতির স্বিকার হয়ে বিয়ে করেছে। তভুও যেন ওর প্রতি একটা ঘেন্যা ঘেন্যা লাগছে। কারন আমার জীবনের সব আশাই ও নষ্ট করে দিছে। কি যে করি মাথায় কিছুই আসে না। কখন যে রাত ৩ টা বজে গেলো বুঝতেই পারি নি তার পর বাসার দিকে আবার রওনা দিলাম। কারন আব্বু যদি কনো ভাবে যানতে পারে যে আমি জবার সাথে বাসর রাত কাটাই নি। অথবা জবার সাথে খারাপ ব্যাবহার করছি আমার পুরোই বারটা বাজিয়ে দিবে। তাই বাসায় চলে গেলাম। সিহাব এর কাছে গিয়ে ওকে ডাক দিয়ে ঘুম থেকে উঠালাম। সিহাব তো আমাকে দেখে অবাক,,, সিহাবঃ কিরে তুই এখানে কি করছ,,? আমিঃ কেন কি হইছে তোর কাছে আসছি। সিহাবঃ বাসর রাত শেষ। কেমন মজা নিলি বল না,,? আমিঃ হা হা হা,, মামার দোকানে চা খেয়ে অনেক মজা পাইছি। সিহাবঃ মানে কি,,,? আমিঃ,,,,,,,(সব কিছু খুলে বললাম) সিহাবঃ কাজটা তুই ঠিক করিস নি। আমিঃ কেন,,,? ; তুই আমার বন্ধু হয়ে এটা বলতেছিস। এতই যদি মায়া লাগে জবার উপর যা তুই বিয়ে করে ফেল,,, সিহাবঃ দেখ পাগলামো করিস না। আমি রেগে গিয়ে সিহাবের কাছ থেকে চলে আসলাম। সালা আসছে আমারে গ্যান দিতে। তার পর আচতে আচতে আমার রুমের দিকে গেলাম, দরজা খুলবো নাকি খুলবো না এটা নিয়ে চিন্তায় আছি। অনেক্ষন ভাবার পর দরজা খুললাম। রুমে প্রবেশ করে দেখি জবা খাটের উপর নাই
বেশ চিন্তায় পরে গোলাম জবা গেলো কোথায়। পরে দেখি জবা ফ্লোরে মানে আমার বিছানায় শুয়ে আছে। জবার কাছে গিয়ে বসলাম ওর দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে থাকলাম। ভাবছি জবা বিছানা ছেড়ে ফ্লোরে কেন ঘুমাচ্ছে। যাই হোক ঘুমের মধ্যে জবাকে বেশ সুন্দর লাগছে।তার পর আমি গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। সারাদিন খাটা খাটি আর টেনশনে যেন শরিরটা ক্লান্ত লাগছে। তাই বিছানায় মাথা লাগানোর সাথে সাথে ঘুম চলে আসলো। একটু পর কপালে যেন নরম ছোয়া অনুভব করলাম। একটু একটু করে চোঁখ মেল্লাম দেখি জবা আমার মাথায় তাত বুলাচ্ছে। তার পর আমি উঠে বসলাম। জবা হাতটা সরিয়ে নিলো।আমিঃ ওই আপনাকে না বলছি আমাকে দরদ দেখাতে আসবেন না। আমার কারো কনো দরদ প্রয়জন নেই।জবাঃ,সরি,,,(নরম সুরে)আমিঃ হয়েছে,, এখন জান আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দেন,।জবাঃ একটা কথা বলবো,,?আমিঃ জী বলেন,!জবাঃ আমার দোষটা কি,,?আমিঃ দোষ আমার কপালের যে আপনাকেই বিয়ে করতে হলো। আমার সব আশা নষ্ট হয়ে গেছে।জবাঃ তুমি বিয়ে কেন করলে,,? তখন কেন এই সব কথা বলো নি কেন,,? আমিঃ ওই আপনি জানেন না আব্বু আমাকে জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করছে,,জবাঃ তুমি এখন কি চাও,,? (কাদোঁ কাদোঁ কন্ঠে)আমিঃ মরতে চাই,,দেখুন আমি আপনাকে বউ হিসেবে মানতে পারবো না। আমার gf. আছেএই কথা বলে আমি ওয়াস রুমে চলে গেলাম। তার পর ফ্রেশ হযে বাইরে চলে গেলাম। তখন প্রায় সকাল হয়ে গেছে। আসলে আমার কনো gf নাই জবাকে আমি মিথ্যা কথা বলেছি। জবা খুব কাদঁছে ওর কান্না দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে কিন্তু কি করবো। আমি যে সারা জীবন তাকে বড় আপুর চোখে দেখে এসেছি। তাকে বউ হিসেবে মানা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তার পর সিহাব কে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাইরে গেলাম। সিহাব আমাকে অনেক বুঝালো জবাকে মেনে নিতে। কিন্তু আমি কিছুতেই তা পরছি না। তার পর আমার বাকি বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। আমার জে বিয়ে হয়েছে ওরা সব যেনে গেছে,, ওরা আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ট্রল করতে শুরু করলো। আমি চুপ করে বসে আছি। হটাৎ বাবা কল দিলোবাবাঃ কই তুই,,?আমিঃ এইতো বাবা একটু বাইরে আসছি!বাবাঃ আজকেও কি তোকে আড্ডা দিতে হবে নাকি,,? ( রাগি গলায় বললো)আমিঃ ইয়ে না মানে একটু কাজে আসছিলাম বাবা।বাবাঃ আরে বাহ তুই আবার কবে এতো কাজের লোক হয়ে গেলি। তারা তারি বাসায় আয়। জবার বাবা মা আসছে,,আমিঃ কিহ! ওরা কেন আসছে,,?বাবাঃ ওরা কি তোকে জিগ্গেশ করে আসবে নাকি। ওদের মেয়ে কে ওরা দেখতে আসছে,,! তুই তারা তারি বাসায় আয়।আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে!বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। ভাবছি আমি বুঝি ফেসে গেলাম জবা জদি ওর বাবা মা কে সব বলে দেয়,, আর খালু জদি তা বাবা কে বলে তাহলে আমার রক্ষা নাই। বাবা আমায় মেরেই ফেলবে। ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে গেলাম। তার পর বাবার রুমে গেলাম। বাবা কিছু টাকা দিয়ে একটা বাজার লিস্ট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো যা বাজার করে আয়। আমি হ্যা মুলক মাথা নাড়ালাম।তার পর বাজারে গেলাম সব বাজার করে বাড়ি ফিরছি এমন সময় একটা বন্ধুর সাথে দেখা। ওর নাম তানভির।তানভিরঃ কিরে বাসর রাত কেমন কাটালি,,?আমিঃ হেরে মামার টংয়ের দোকানে চা খেতে খেত বেশ ভালোই কাটলো!তানভিরঃ মানে কি,,?আমিঃ সব কিছু খলে বললাম।তার পর বাসার দিকে রওনা দিলাম। গিয়ে দেখি জবার মা বাবা চলে এসেছে। আমি বাজার গুলো মাকে দিয়ে আব্বুর কাছে গেলাম। আব্বু আর খালু দুযোন গল্প করছে। তার পর আব্বু বললো কিরে সালাম কর তোর শশুর কে। আমি আনিযি ফিল করলাম শশুর বলাতে আব্বু। তার পর খালুকে সালাম করলাম আব্বু বললো জা জবা মা মনি কে নিয়ে আয়। আমি দাড়িয়ে রইলাম। আব্বু বললো কিরে সুনতে পাসনি কি বললাম। আমি হ্যা মুলক মাথা নাড়িয়ে আমার রুমের দিকে চলে গেলাম।রুমে গিয়ে দেখি, মা জবা আর জবার মা আরও একটা মেয়ে জবাদের কাজিন ওরা গল্প করছে এমন সময় আমাকে দেখে জবার মা বললো আরে বাবা ভিতরে আসো। আমি রুমে ডুকলাম, এমন সময় আমার আম্মু বললো কিরে তোর শাশুরি কে সালাম কর,,! আমি সালাম করলাম। তার পর তারা রুম থেকে চলে গেলো। আমিনজবাকে বললাম,,আমিঃ আব্বুর রুমে চলেন,!জবা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। রাতে মনে হয় অনেক বেশিই কান্না করেছে। চোঁখ দুটো লাল হয়ে আছে।আমিঃ আরে তাকিয়ে আচেন কেন মুখের দিকে। আমাকে এর আগে কখনো দেখেন নি,,?জবাঃ জী চলো! আমিঃ আগে আমার একটু কথা সুনেন,,?জবাঃ জী বলো,,?আমিঃ কাল রাতে আমাদের মাঝে কি হয়েছে তা যেন কিছুতেই বাবা জানতে না পারে।জবাঃ আপনি চিন্তা করবেন না আমি কিছুই বলব না। আমিঃ জী চলুন,! জবাঃ একটা কথা বলবো,,?আমিঃ কি কথা,,?জবাঃ প্লিজ আমার জন্য আমার বাবাকে কিছু বলবেন না। আার বাবা হার্টের রোগী। আর আমি আমার বাবা কে অনেক ভালোবাসিজবার কথাটা শুনে অনেক অবাক হলাম। আমি জানি আমার খালু হার্টের রোগী। কিন্তু এটা জানতাম না যে জবা খালুকে এতো ভালোবাসে। তার পর জবাকে নিয়ে বাবার রুমে গেলামবাবা আমায় বললো এই সাফিন জবার কাধের ওপর হাতটা রাখতো। আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন যদি হাত না রাখি তাহলে সবাই আমাদের সন্দেহ করবে। তাই সংকোচ ময় জবার কাধে হাত রাখলাম। জবার কাধে হাত রাখায় জবা চম্কে গিয়ে আমার দিকে লাজুক দৃষ্টিতে তাকালো। বাবাঃ দেখুন না বেয়াই দুজোন কে খুব সুন্দর মানিয়ে ছে,,খালুঃ জ্বী বেয়াই আমার মেয়ের সাথে আপনার ছেলে মানে জামাই বাবুকে বেশ ভালোই মানিয়ে ছে। বাবাঃ যা সাফিন মামুনি কে নিয়ে ভিতরে যা।তার পর জবার কাধে হাত রেখে জবাকে আমার রুমে নিয়ে আসলাম। আমি রুমে প্রবেশ করার সংগে সংগে জবার কাধ থেকে হাতটা সরিয়ে নিলাম,,, আমি হাত সরিয়ে নেয়াতে জবা আমার দিকে কাদোঁ কাদোঁ চোখে তাকিয়ে আছে।,,, মেয়েটাকে দেখে বেশ মায়া লাগছে। কিন্তু আমার কিছুই করার নেই আমি তাকে ভালোবাসা দেখাতে পারবো না। তার পর জবা বললো,,,জবাঃ ধন্যবাদ,,,,আমিঃ কিসের জন্য,,,?জবাঃ এই যে তুমি আমার বাবা কে কিছু বলোনি।আমিঃ সেটা আমি আপনার জন্য আপনার কাধে হাত রাখি নি আমি আমার বাবা বলাতে রাখছি। সো ধন্যবাদ দেয়ার কনো প্রয়জন নেই,,জবাঃ আম্মু বলেছে কাল তোমাকে নিয়ে আমাদের বাসায় যেতে,,,আমিঃ আমি কি পাগল হইছি যে আপনার সাথে আপনাদের বাসায় যাবো। আপনি বরং একাই চলে যেয়েন। জবাঃ প্লিজ না করো না।আমিঃ ওই আপনাকে একবার বলছি না আমি জাবো না।তার পর জবা মাথা নিচু করে কেদেঁ দিলো। আর হাত যোর করে আমায বললো,, প্লিজ না করো না। আমার এমনিতেই সব সম্মান শেষ। তুমি তো যানো কমিনিটি সেন্টারে লোকেরা আমাকে কি বাজে কথা বললো। এখন তুমি জদি না যাও এটা যদি লোক জন শুনতে পারে তাহলে আমায় আরো বাজে কথা বলবে। জবা কান্না করে এমন কথা বলাতে আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করলো,,,,,
কি করবো বুঝতে পারছি না। তার পর দুপুরে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। আব্বু আর খালু তারা দুজোন কথা বলছে,,,বাবাঃ তো বেয়াই আজকে থেকে জান,,,খালুঃ না বেয়াই আসলে বাড়ী পুরো ফাকা হয়ে আছে,,বাবাঃ হুম তাইতো আপনাকে জোর করতে পারছি না!খাুলুঃ তো বেয়াই কাল জাবাকে আর আমাদের জামাই কে পাঠিয়ে দিয়েন।বাবাঃ আচ্ছা ঠিক আছে বেয়াই। কনো সমস্যা নাই।তার পর বিকাল বেলা জবার বাবা মা চলে জাবে। এমন সময় আমাদের ডাকলো। আমাকে বললো সাফিন বাবা কাল সকালে জবাকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসিও। আমি চুপ করে থাকলাম। কিছুই বল্লাম না। তার পর আব্বু বললো কিরে তোর বুদ্ধি কি দিন দিনরকমে জাচ্ছে নাকি,,? তোর শশুর শাশুরি কে সালাম কর! বাবার কথা সুনে আমি সালাম করে নিলাম। তার পর তারা চলে গেলো। জবার বেশ মোন খারাপ তার বাবা মা চলে যাওয়াতে। তার পর আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে খেলাম। আমিনবিয়ে করাতে শালারা আমায় নিয়ে বেশ ট্রল করে সিহাব,,,,,, বললো কিরে নতুন বউ পাওযাতে তো আমাদের ভুলেই গেলি। তানভির,,,, কিরে বাসর রাত কেমন কাটলো। আবদুল্লাহ,,, কিরে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিবি না,,,?এই হারামি গুলা জানে আমার সব কিছু। তাও ট্রল করছে বন্ধু বলে কথা তাইনা। অনেক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। আমি বাবা মা এক সাথে বসে খবর দেখছি। এমন সময় জবা চা বানিয়ে নিয়ে এলো।বাবাঃ আরে জবা মা তোমার হাতের চা তো বেশ দারুন। খুব ভালো হয়েছে।আম্মুঃ জবা আমি নিযেও তো এতো ভালো ভাবে চা বানাতে পারি না। খুব ভালো হয়েছে। আমিঃ আরে চায়ে দুধ চিনি দিলে চা এমনিতেই ভালো হয়। এতে এতো প্রসংশার কি আছে। আজব!বাবাঃ চুপ হারাম জাদা তোকে কে কথা বলতে বলছে। আমি চা টা আর খেলাম না। উঠে রুমে চলে গেলাম। গিয়ে রুমের এক কোনায় বশে থাকলাম। একটু পর জবা এলোজবাঃ চা,,টা খাও নি কেন,,,?আমিঃ ভালো লাগে নি তাই! কেন কি হয়েছে,,?জবাঃ আমি চাটা অনেক কষ্ট করে বানিয়ে ছি।আমিঃ ওই শুনেন দরদ আমাকে না দেখিয়ে যান বাবা মাকে দেখান। আমার কাছে আপনার দরদ বিরক্ত লাগে।আমার কথা শুনে জবা মোন খারাপ করে খাটে চলো গেলো। আর কাদঁতে শুরু করলো। জবার মায়াবি চেহারাতে কান্নাঁ। মোনটা যেন একটু নরম হয়ে এলো। জবার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। কি সুন্দর লাগছে জবা কে দেখতে। একটু পর মা ডাকলো জবা মা খেতে আসো। সাফিন জবাকে নিয়ে খেতে আয়,, আমি জবার সামনে গেলাম। এইজে হয়েছে আর ডং করতে হবে না। মা ডাকছে খেতে আসেন। তার পর খাওয়া দাওয়া করে আমি রুমে চলে আসলাম। এসে একটা পাটি আর একটা বালিশ নিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়লাম।শুয়ে শুয়ে ভাবছি আহ কি জীবন আমার। এমন সময় জবা আসলো। এসে আমার পাশে বসলো,,,জবাঃ একটা কথা বলবো,,,?আমিঃ হুম বলেন,,জবাঃ তোমার নিচে থাকতে কষ্ট হবে। তুমি বিছানায় ঘুমাও আমি বরং নিচে ঘুমাই!আমিঃ ওই আপনাকে কতো বার বলবো যে আমায় দরদ দেখাতে আসবেন না। এসব দরদ আমার বিরক্ত লাগে।জবাঃ,,,,,,, (নিস্চুপ ভাবে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে বড় একটা নিস্বাশ ফেললো। চোখের কোনে পানি টল মল করছে)আমিঃ কি হলো তাকিয়ে আছেন কেন,,? জান গিয়ে শুয়ে পড়ুন,!জবাঃ কালকি আমরা জাবো,?আমিঃ কোথায়,,?জবাঃ আমাদের বাড়িতে,!আমিঃ দরকার নেই,,জান ঘুমিয়ে পড়ুন।তার পর জবা কাদঁতে কাদঁতে আমার পাশ থেকে উঠে কাটে চলে গেলো। জবার কান্নাঁ দেখে আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করলো। চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল হলো। ওয়াস রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। নাস্তা করে ভাবছি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবো। তার পর গর থেকে বার হবো এমন সময় বাবা ডাক দিলো সাফিন,,,আমিঃ জী বাবা!বাবাঃ এখনো রেডি হসনি,, আমিঃ কেন বাবা,,?বাবাঃ জবাদের বাড়িতে জাবি না,,আমিঃ না বাবা আমার ভালো রাগছে না,,?বাবাঃ বললেই হলো যা রেডি হয়ে আয়। আমি সি এন জি ড্রাইভার কে আসতে বলেছি।কি আর করবো বাবার কথা না শুনলে আমায় বাড়িতেই ঢ়ুকতে দিবে না। তাই। রেডি হয়ে জবাকে নিয়ে রওনা দিলাম।বাবা আমার হাত খরচ এর জন্য কিছু টাকা দিয়ে দিলো।প্রায় এক ঘন্টা পর জবাদের বাসায় পোছে গেলাম। দরজায় নক দিয়ে দেখি খালু দরজা খুলেছে। খালু আমাদের দেখে ভিতরে আসতে বললো। তার পর আমি খালুকে আর আন্টিকে সালাম করলাম। আন্টি আমাকে জবার রুমটা দেখিয়ে দিয়ে বললো জকও বাবা ফ্রেশ গয়ে আসো।কিছুক্ষন পর আযান দিবে। আমি গোসল করে বের হয়ে নামায পড়তে চলে গেলাম। নামায থেকে এশে জবার রুমে যাবো এমন সময় খালু বললো আরে বাবা খেতে আশো।সবাই একসাথে খেতে বসলাম। খাবারের আইটেম দেখেতো আমি অবাক। আরে বাহ একেই বলে জামাই আদর। তার পর খাওয়া দাওয়া শেষ করে জবার রুমে গিয়ে শুয়ে আছি। শরির ক্লান্ত থাকায় ঘুম চলে আসলো। কিছুক্ষন ঘুমানোর পর বাইরে ঘুরতে গেলাম। আসলাম রাত টিক নয়টা বাজে। তার পর খালু বললো কিরে বাবা কোথায় গিয়ে ছিলে। আমি একটা বায়না মেরে দিলাম। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি জবার রুমে চলে গেলাম। কিছুক্ষন পর জবা এলো। আমিনজবাকে দেখে খাট থেকে উঠে ছোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।জবাঃ তুমি ছোফায় কেন,, খাটে ঘুমাও,আমিঃ না,, আপনি খাটে ঘুমান আমি ছোফায় থাকতে পারবো।জবাঃ তুমি ছোফায় ঘুমাবা এটা জদি সবাই যানতে পারে,, তাহলে কি হবে,,?আমিঃ সমস্যা নাই, জানবে না,,জবাঃ না তুমি কাটে ঘুমাও আমি বরং অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাবো,!তার পর আমি বললাম ঠিক আছে। আমি খাটে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। কিছুতেই ঘুম আসচে না। তার পর কোল বালিস টা জরাই দরে ভাবলাম সালার আমিই একমাত্র জামাই যে কিনা বউকে রেখে কোল বালিস নিয়ে শুয়ে আছি। একটু পর ঘুম চলে আসলো। মাঝ রাতে হটাৎ কেমন জানি লেগে উটলো। আরে কোল বালিস এতো নরম হয় কি ভাবে, েকটু একটু করে চোখ মেলে দেখলাম জবা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আমি অনেকটা অবাক হলাম।অনেক্ষন জবার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কি নিস্পাপ চেহারা চোখ যেন ফেরাতেই পারছি না। আমার মনে হচ্ছে যেন আমি জবার প্রতি প্রথম ক্রাশ খেলাম। আমি একটু নড়া চড়া করতেই জবা আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।জবার মাথা আমার বুকে রাখা। এই প্রথম কনো মেয়ে আমার বুকে মাথা রাখলো। জবার গরম নিস্বাশ আমার বুকে পড়ছে।আমি যেন অন্য যগতে হারিয়ে গেলাম,,,,, তার পর আমি হটাৎ কোরেই,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভাবলাম আমি তো জবার প্রতি কোন ভালোবাসা দেখাবো না। কারন তাকে আমি আমার বউ হিসেবে মানতে পারছি না। কারন সারা জীবন সে আমার বড় আপু ছিলো। হটাৎ করেই জবাকে আমার বুক থেকে সরিয়ে দিলাম। তার পর আমি ছোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ভাবছি আমিই কি পৃথীবিতে এক মাত্র বর যে কিনা বউ এর ভালোবাসায় বিরক্ত বোদ করে,,,,,জাই হোক তার পর ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল বেলা জবার ডাকে ঘুম ভাংলো। তার পর আমি উঠে ফ্রেশ হলাম। তার পর জবা আমাকে নাস্তা এনে দিলো।নাস্তা খেতে খেতে,,,জবাঃ তোমাকে না বললাম ছোফায় না ঘুমাতে,,?আমিঃ আমিতো খাটেই শুয়েছি কিন্তু আপনি কাল রাতে আমার পাশে কেন শুলেন,,? আর আমার ঘুমের বারটা বাজিয়ে দিলেন,,জবাঃ বারে আমার বর এর সাশে আমি ঘুমাচ্ছিলাম তাতে তোমার সমস্যা কথায়।আমিঃ আরে কে আপনার বর আমি না ফাদে পড়ে আপনাকে বিয়ে করেছি। বাবার জন্য নাহলে না আমি জীবনেও বিয়ে করতাম না। আর রাতে আপনাকে আলগা পিরিত দেখাতে কে বলেছে,,? আপনাকে আমি কতবার বলবো যে আলগা পিরিত আমার ভালো লাগে না! (কথা গুলো রাগি গলায় বললাম)জবাঃ,,,,,,,,,( নিস্চুপ কাদোঁ কাদোঁ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)আমিঃ হয়েছে আর ডং করতে হবে না, আমি বেরোলাম,,জবাঃ কোথায় জাচ্ছো,,?আমিঃ সেটা আপনাকে না বললেও চলবে।জবাঃ একটু কথা ছিলো,,আমিঃ কি কথা,,?জবাঃ একটু তারা তারি ফিরবে প্লিজ আমার বান্ধবিরা তোমায় দেখতে আসবে,,?আমিঃ আরে আমায় দেখার কি আছে,,?জবাঃ হুম আমার বান্ধবিরা, আর আমার কিছু কাজিন তোমায় দেখতে আসবে,,!আমি কিছু না বলেই বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। এখানে বন্ধু বান্ধব না থাকায় সময়টাও কাটে না। একদিকে হাটা সুরু কললাম,,, হাটতে হাটতে একটা রাস্তা পার হবো এমন সময় একটা গাড়ির ধাক্কা খেয়ে গেন হারিয়ে ফেলি,,, গেন ফেরার পর দেখি আমি হাসপাতাল এর সিটে,,, কে এনেছে আমায় কিছুই জানি না,,, রাত বাজে প্রায় নয়টা,, আমার পাশে জবা আমার একটা হাত ধরে চেয়ারে শুয়ে আছে। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। হটাৎ জবা চোখ মেলে আমায় বললো,,,জবাঃ এখন কেমন লাগছে তোমার,,?আমিঃ একটু ভালো লাগছে,,,?জবাঃ কোন দিকে তাকিয়ে হাটো,,,? একটু দেখে চলতে পারো না,,? জদি তোমার কিছু হয়ে জেত,,?আমিঃ আমায় হাসপাতাল কে নিয়ে এসেছে,,?জবাঃ তুমি যখন রাস্তায় পড়ে ছিলে তখন একলোক তোমার নাম্বার থেকে আমাকে কল দেয়,, তার পর তোম্কে নিয়ে আমরা হাসপালে আসি,,আমিঃ আমার আব্বু আম্মু কি খবর টা জানে,,?জবাঃ হুম আমি কলদিয়ে বলেছি,,, ওনারা এসেছে,,?আমিঃ কই,,?জবাঃ ওনারা এখন আমাদের বাসায় অনেক্ষন ছিলো তোমার এখানে,, তখন তুমি অগ্যান ছিলে,,তার পর বাবা ওনাদের আমাদের বাসায় নিয়ে জায়,,, অনেক রাত তো হলো তাই,,আমিঃ তো আপনি কেন বসে আছেন,,,? আপনিও চলে জান,? আমি একাই থাকতে পারবো!জবাঃ কি যে বলোনা তোমায় রেখে আমি যেতে পারি,,? তুমি চিন্তা করো না! ডাক্তার বলেছে তোমার তেমন কিছুই হয়নি। তোমাকে কাল বাসায় নিয়ে যেতে পারবো।মনে মনে ভাবছি জবা আমাকে মনে হয় সত্যি ভালোবাসে। তার পর জবা আমাকে বললো কিছু খাবে,,? আমি বললাম না,, তার পর জবা বললো ঘুমিয়ে যাও চিন্তা করো না আমি আছি। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। পরের দিন সকালে আমাকে সোজা আমাদের বাড়িতে নিয়ে জাওয়া হলো। আমার এক্সিডেন্ট এর খবর শুনে আমার সব বন্ধুরা আমায় দেখতে এলো। মাথা ব্যাথার জন্য আমি শোয়া থেকে উটতে পারছি না। জবা আমাকে সারা দিন সেবা করলো। ও নিজ হাতে আমাকে খাবর খাইয়ে দিলো। জদিও আমি খেতে চাইনি। কিন্তু না খাওয়া ছাড়া কনো উপায় নেই,,, রাত হলো জবা একটা পাটি আর একটা বালিশ নিয়ে নিচে শুয়ে আছে। আমি তখন ঘুম ছিলাম। মাঝ রাতে হটাৎ কেউ একজন আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে। এমি একটু একটু করে তাকিয়ে দেখি জবা আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে। ডিম লাইটের হালকা হালকা আলোতে জবার মুখের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। কি সুন্দর লাগছে জবাকে।তভুও জবার মন খারাপ কারন আমিনতাকে বউ হিসেবে এখনো মেনে নেইনি। এভাবে দুদিন আমি বিছানায় ছিলাম। তার পর একদিন বন্ধুদের কল দিলাম ওরা আসলো এবং আড্ডা দিতে শুরু করলাম। ওরা আমাকে জিগ্গেশ করলো কিরে বউ কেমন,, আমি ওদের জবার বেপারে সব খুলে বললাম,,সিহাবঃ দেক বন্ধু যা হওয়ার হয়ে গেছে,, এখন তোর মেয়েটি কে কষ্ট দেয়া একদম ঠিক হচ্ছেনা! তাছাড়া মেয়েটি তোকে অনেক ভালোবাসেসিহাবের শাথে ওই হারামি গুলা সবাই একমত পেশ করলো। আমি হয়েছে তোরা আমায় আর জ্ঞান দিতে হবে না। এমন সময় বাবা কল দিলো,, এবং বললো বাসায় আয়। আমি বাসায় গেলাম। আর বাবার ঘরে গেলাম।বাবাঃ দেখ সাফিন এভাবে তো আর জীবন চলবে না। কয়দিন আমার ঘাড়ে খাবি। তাছাড়া তুই বিয়ে করেছিস। তোর বউ আছে। তোর সামনে একটা ভবিষ্যৎ আছে।কিছু একটা তো করতে হবে নাকি,,? এভাবে কয় দিন থাকবি। আমিঃ কি করবো আমি, আমি তো বিয়ে করতে চাইনি তোমরাইতো আমায় জোর করে,,,,,(এমন সময় বাবা আমার চোখের দিকে তাকালো তাই চুপ হয়ে গেলাম)বাবাঃ একটা চাকরি বাকরি তো করতে পারিশ। আর তা ছাড়া আমার বয়শ হয়েছে,,,আমিঃ দেখি কি করা যায়!বাবাঃ দেখি বললেতো হবে না দেখতে হবে। আমিঃ ঠিক আছে বাবা! খুব রাগ হচ্ছিলো তখন। এখন থেকে নাকি আমায় চাকরি করতে হবে। মনে মনে ভাবছি সব এই জবার জন্য। এই মেয়েটা আমার জীবনের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। মনে মনে ভাবছি কমিনিটি সেন্টারের লোকজন ঠিকই বলেছে। এই মেয়ে একটা অলক্ষি। তার পর আমি রুমে গেলাম। গিয়ে বসে আছি। এমন সময় জবা আসলো। আমাকে এমন চিন্তায় দেখে জবা বললো,,জবাঃ কি হয়েছে,,,?আমিঃ কি আর হয়নি! সব আপনার জন্য!জবাঃ কি হয়েছে সেটাতো বলবে নাকি,,?আমিঃ এই মেয়ে চুপ একদম চুপ। তোর জন্য আজ আমার এই অবস্থা। তুই আমার জীবনের সব টুকু সুখ কেড়ে নিয়েছিস। তোর জন্য এখন আমার এই অবস্থা। তুই একটা,,,,,,,,,,,,তার পর আমি রুম থেকে বেরিয়ে চলে আশি। হাটতে হাটতে রাস্তার একটা পাশে চলে যাই। আমার এমন ব্যবহার জবা ভিসন কষ্ট পেয়েছে। ওর বুকটা ফেটে যাচ্ছে আমি জানি।একদিকে চাকরির চিন্তা অন্য দিকে জবার চিন্তা মাথাটা যেন ঘুরছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। দুপুরে আর বাসায় গেলাম না। মোবাইলট্ বন্ধ করে দিলাম। রাত প্রায় ১১ টায় ঘরে ফিরলাম। ঘরে যাওয়ার পর মা বাবা দুজনেই আমাকে বকতে শুরু করলো। মোবাইল কেন বন্ধ ছিলো তাই। আমি কিছুই বললাম না। দুপুরে খাইনি বেশ খিদা পেয়েছে।মাকে কে বললাম আমিঃ তোমরা খেয়েছো,,,?মাঃ হুম আমি আর তোর বাবা খেয়ে নিয়েছি। যানিস তো আমার ঔষুদ খাওয়ার সময চলে জাচ্ছে। আর তোর বাবাও খেয়ে নিয়েছে।আমিঃ ও ভালো করছো আমায় খেতে দাও,,,মাঃ জবা তোর জন্য খাবার তোর ঘরে নিয়ে গেছে,, জবা মা তোর সাথে এক সাথে খাবে বলে খায়নি।তার পর আমি আমার রুমে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি টেবিলে খাবার রাখা। আর জবা ফ্লোরে বশে ছোফায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। জবাকে ডাক দিলাম,,,জবাঃ তুমি আসছো। কোথায় ছিলে সারাদিন,,?আমিঃ খাবার খেতে দিন,,, খিদা লাগছে! জবাঃ হে আমি তো তোমার জন্যই বসে আছি! তোমার সাথে একসাথে খাবো বলে,,, তার পর আমরা দুজন এক সাথে ভাত খেতে লাগলাম।আমিঃ সরি,,জবাঃ কিসের জন্য,,?আমিঃ সকালে আমার এমন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। জবাঃ সরি বলা লাগবে না,, আসলে আমার জীবন টাই এমন মনে হয়!আমিঃ,,,,,,, (নিস্চুপ)জবাঃ একটা কথা বলবো,,?আমিঃ জী বলুন!জবাঃ আমার জন্যই তোমার এতো কষ্ট তাই না,,?
আমিঃ,,,,,,,, (নিস্চুপ)তার পর আমি খাবার খেয়ে একটা পাটি আর একটা বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুম আসছিলো না। মাথাটা ভিষন ঘুরছে।রাতে শরির টা কাপতে শুরু করলো। ভিষন জ্বর আসছে। এমন সময় কেউ একজন আমার কপালে হাত রাখলো। তাকিয়ে দেখি জবা। জবাঃ আরে তোমার তো জ্বরে শরির পুড়ে যাচ্ছে,,!আমিঃ ও কিছুনা আমি ঠিক হয়ে যাবো। আপনি ঘুমান।জবাঃ বললেই হবে নিচে থেকে থেকে তোমার ঠান্ডা লেগে গেছে! চলো খাটে চলো।আমিঃ না লাগবে না আপনি ঘুমান!তার পর জবা আমাকে ধরে খাটে নিয়ে গেলো। সারারাত আমার মাথায় জল পট্টি দিলো। সত্যি আমি তখন ওর দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি। জবা কে ডিম লাইটের অল্প আলোতে অন্য রকম সুন্দর লাগছে। এভাবেই আমার দিন কাটছিলো। এর মদ্ধে অনেক কষ্টে আমি একটা চাকরি খুজে পাই। আমার কাজ হচ্ছে দোকানে দোকানে গিয়ে ওর্ডার নেয়া। মানে মার্কেটিং অফিসার। সেলারি বার হাজার টাকা। একদিন আমি কাজ শেষে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি ফিরে দেখি বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাবার পক্ষে কাজ করা আর সম্ভব নয়। অনেক তো করলো আমাদের জন্য। এখন আমাদের ফ্যামিলির অবস্থা তেমন একটা ভলো না। কারন আমি জা বেতন পাই তা দিয়ে খুব কষ্টে আমাদের ফ্যামিলিটা চলে। বাবা মায়ের জন্য প্রতি মাসে মেডিসিন কিনতে হয়। তার উপর আবার ফ্যামিলির খরচ। আমার বেতন দিয়ে কিছুই হয় না। তার পর একদিন সকাল বেলা কাজে যাববো এমন সময় মা এসে বললো,,মাঃ সাফিন,,,তোর বাবার মেডিসিন টা শেষ হয়ে গেছে,,?আমিঃ ঠিক আছে মা আমি আসার সময় নিয়ে আসবো!মাঃ সাফিন,, শুন,,আমিঃ কিছু বলবে মা,, তারা তারি বলো আমার অফিশের দেরি হয়ে যাচ্ছে,,মাঃ ইয়ে মানে,, বাসায় কনো বাজার নেই,, তোর কাছে কিছু টাকা হবে,,আমিঃ হুম হবে তো,,,, (তখন আমার পকেটে মাত্র ২৭০ টাকা ছিলো তা মাকে দিয়ে আসলাম)একন যে কাজে যাবো গাড়ি ভাড়াটাও নেই তাই হাটা শুরু করলাম। হেটে হেটে কাজে গেলাম একটু লেট হয়ে গেছে তাই বস ভিসন ঝারি দিলো,,,, তার পর কাজে চলে গেলাম। দুপুরে শুধু একটা পাওরুটি খেয়ে সারাটা দিন কাটিয়ে দিলাম আমার জীবনটা এমন হয়ে জাবে আমি ভাবতেও পারছি না। বিকেল বেলা কাজ শেসে বাসায় ফিরবো এমন সময় বাবার মেডিশিন এর কথা মনে পড়লো। পকেটে একটা টাকাও নেই।কি করে মেডিসিন টা কিনি বুঝতে পারছি না। এমন সময় আমার বন্ধু বাদশাকে দেখতে পেলাম,,,বাদশাঃ কিরে সাফিন তোরে তো আজ কাল দেখাই যায় না। বড় আপু বিয়ে করে আমাদের ভুলে গেলি নাকি,,,??আমিঃ কিযে বলিশ না তোদের ভুলবো কেন,? আশলে বন্ধু আমার জীবন টাই না বদলে গেছে রে,,!বাদশাঃ কি হয়েছে,,,? বলতো আর তোকে দেখতে এমন লাগছে কেন,, আমিঃ সব কিছু খুলে বললাম।বাদশাঃ চিন্তা করিশ না দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে,, আচ্ছা জবার কি খবর,,?আমিঃ আছে কনো রকম,,, আশলে বাদশা তোকে একটা কথা বলবো ভাবছি!বাদশাঃ হুম বল,,,,,আমিঃ তোর কাছে ৫০০ টাকা হবে। আমি তোকে মাস শেষে বেতন পেলে দিয়ে দিবো,,,বাদশাঃ এইনে ধর যখন হাতে হয় দিশ।তার পর বেশ কিছুক্ষন ওর সাথে আড্ডা দিয়ে মেডিসিন গুলা কিনে বাসায় রওনা দিলাম। বাসায় গিয়ে মায়ের হাতে মেডিসিন গুলা দিলাম। মা বললো ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়। তার পর আমি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসলাম, আমি বাবা মা আমরা তিন জন খাবার খাচ্ছি,, এমন সময় বাবা বললো,,,বাবাঃ হেরে সাফিন তঁর খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা। আমিঃ কেন আমার আবার কিসের কষ্ট।আমিতো ভালোই আছি,,বাবাঃ আমাকে যাই বলিস আমি জানি একটা ফ্যামিলি চালানো কতটা কষ্ট।আমিঃ আহ বাবা বাদ দাওতো এসব,,, আচ্ছা বাবা জবা কই ও খেতে আসছে না কেন,,?বাবাঃ ওহ আমিতো তোকে বলতে ভুলেই গেছি,, বিয়ের পর থেকে বাপের বাড়ি যায়নি মেয়েটি। সকালে তোর খালু এসেছিলো জবাকে নিতে,,, জবা তোকে অনেক বার কল দিয়েছে তোর ফোন বন্ধ ছিলো,, তাই আমি যেতে বলেছি। আমিঃ ও আচ্ছা,, ঠিক আছে,,,তার পর আমি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। আহ ভিষন আরাম লাগছে কতদিন পর বিছানায় ঘুমাচ্ছি। এমন সময় জবা ফোন দিলো,,,আমিঃ হুম বলেন,,,!জবাঃ সরি আসলে তোমায় অনেক বার কল দিয়ে ছি তোমার মোবাইল বন্ধ ছিলো।আমিঃ কয় দিন থাকবেন,,,ওখানে,,? জবাঃ যানি না,,,, আর তোমার কাছে থেকেই বা কি লাভ,, না আছে ভালোবাসা না আছে সেয়ারিং,,, আমিঃ,,,,,,,,, (নিস্চুপ)ফোনটা কেটে দিলাম তার পর। মনে মনে ভাবছি সত্যিতো আমি জবার জন্য কিছুই করতে পারি নি। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবে দু তিন দিন কেটে গেলো।একদিন সকালে কাজে যাবো এমন সময় বাবা বললো। বাবাঃ সাফিন তুই কি কাজে যাচ্ছিস,,?আমিঃ জ্বী বাবা কেন,,, কিছু লাগবে,,?বাবাঃ না মানে জবা মা আজ কয়েক দিন নেই বাড়িটা পুরো ফাকা ফাকা মনে হয়। তুই এক কাজ করিস কাজ শেষে জবাদের বাসায় চলে জাস,,, কালতো শুক্রো বার তোর কাজ নেই,,, রাত টা থেকে কাল বিকেলে জবাকে নিয়ে চলে আশিস,,আমিঃ আরে বাবা আমি যাবো কেন,, ওকে ফোন করে বলে দাও ও নিযেই চলে আসবে,,,বাবাঃ তোর কি বুদ্ধি সুদ্ধি সব গেছে নাকি,, মেয়ে টা একা কিভাবে আসবে,,, যা বলছি তা শোন,,,আমিঃ হ্যা বলে মাথা নাড়ালাম।তার পর অফিসে চলে গেলাম,,, বস এর সাথে দেখা করে কাজে চলে গেলাম সারাদিন কাজ করলাম। কাজে কিছুতেই মন বসছে না,,, বিকাল বেলা আবার বসের সাথে দেখা করলাম বস আমার মেমো দেখে বললো,,বসঃ সাফিন তুমি তো খুব ভালো কাজ করো কিন্তু আজ কি হলো অর্ডার খারাপ কেন,,?আমিঃ জ্বী বস সামনে ভালো কিছু করার চেস্টা করবো।বসঃ তাই যেন হয়,,, ওকে বাসায় চলে যাও,,,তার পর আমি একটা বাসে উঠে জবাদের বাসার দিকে রওনা দিলাম। প্রায় বেশ কিছুক্ষন পর জবাদের বাসায় পৌছালাম। আমি দরজায় নক দিলাম। খালু দরজা খুললো। খালু আমায় দেখে বললো আরে বাবা তুমি, আমি বললাম কেন আসতে পারি না,,,? খালু বললো, তা না আসলে তুমি তো আমাদের বাড়িতে আসতেই চাও না,,, যাও বাবা জবা রুমে আছে,তার পর আমি জবার রুমে গেলাম,, জবা আমাকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে,,,জবাঃ তুমি,,,?আমিঃ হে আমি এতে অবাক হওয়ার কি আছে,,?জবাঃ না মানে তুমি তো আমাদের বাড়ি আসতেই চাও না।আমিঃ আপনাকে নিতে এসেছি! বাবা মা আপনাকে ছাড়া নাকি থাকতে পারছে না! জবাঃ ও বাবা মার জন্য এসেছো। নিজে থেকে আসোনি,,?আমিঃ বাবা মা আপনাকে ছাড়া থাকতে পারছে না,,। আর আপনি তো জানেন বাবা মা আপনাকে তাদের মেয়ের চোখে দেখে,,,জবাঃ তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও, আমি খাবার বারতে যাচ্ছি।তার পর আমি ফ্রেম হয়ে সবাই একসাথে খাবার খেতে বশলাম, খাবর খেয়ে আমু জবার রুমে চলে গেলাম। কিছুক্ষন পর জবা আসলো। জবাকে দেখে আমি ছোফায় চলে গেলাম তার পর জবা গিয়ে আমার পাশে বসলো আমি জবার দিকে তাকিয়ে আছি। জবাঃ কখন যাবেন বাসায়,,?আমিঃ কাল সকালে!জবাঃ ঠিক আছে,,?আমিঃ জী আপনু ঘুমিয়ে পড়ুন!জবাঃ তুমি খাটে ঘুমাও!আমিঃ আপনি কোথায় ঘুমাবেন,,?জবাঃ তোমার সাথে ঘুমানোর ভাগ্যটা তো আমার নেই তাই অন্য রুমে ঘুমাবো।এই বলে জবা বড় একটা নিস্বাশ ফেললো। তার পর জবা রুম থেকে চলে গেলো। আমি খাটে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ভাবছি জবা কত ভালো একটা মেয়ে আমি এমন ব্যাবহার করি তাও ও আমায় ভালোবাশে। সারাদিন কাজ করছি তাই অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুম চলে আসলো। মাঝ রাতে হটাৎ কেউ যেন আমায় জড়িয়ে ধরে আছে। আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি জবা আমায় জড়িয়ে ধরে আছে। আর খুব কাদঁছে,,
আমি জবার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। তাকে কিছুই করলাম না।পরের দিন আমরা সকাল বেলা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বেশ কিছুক্ষন পর বাড়ি গিয়ে পৌছালাম।বাবাঃ কিরে তোকে না বললাম বিকাল বেলা আসতে,,?আমিঃ আমার ভালো লাগছিলো না তাই চলে এরাম।এভাবেই আমাদের দিন কাটতে লাগলো। একদিন আমি অফিশ থেকে বাড়ি ফিরলাম। বাসায় এসে শুনি আমার চাচাতো বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছে,, আমি খুবই চিন্তায় পড়ে গেলাম। সংশার এর খরচ টা দিতে পারছি না এখন আবার বিয়ের খরচ। বাবা মায়ের কাপড় চোপর সবরপুরানো হয়ে গেছে। ওদিকে জবার ও কনো ভালো ড্রেস নেই,, কি করি,,তার পরের দিন সকালে কাজে বে হবো এমন সময় মা ডাকলোমাঃ সাফিন পর্সু দিন তোররচাচাতো বোনের বিয়ে,,,আমিঃ জী মা মনে আছে,,,,,মাঃ বিয়েতে তো অনেক খরচ,, তা ছাড়া,,,,, জবার ভালো কনো জামা নেই,,,,,আমিঃ তোমাদের ওতো ভালো কনো কাপড় নেই,,,,,মাঃ আমাদের না হলেও চলবে,,,,,,,,, আমরা কনো রকম সামলে নিবো,,,,,আমিঃ দেখি কি করা জায়,,,,,,মাঃ হেরে সাফিন তোর খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না,,,,,আমিঃ আরে মা কি বলো আমাররআবার কিসের কষ্ট,, ঠিক আছে আমি দেখি কি করা জায়,,,, মাঃ আরেক টা কথা,,,আমিঃ হুম বলো,,মাঃ বাসায় কনো বাজার নেই,,,,,, তোর কাছে কিছু টাকা হবে,,,আমিঃ হুম হবে তো,,,,তার পর মায়ের হাতে কিছু টাকা দিয়ে আসলাম। এখন আমার মানি ব্যাগ একদম খালি,, আজও হেটে হেটে কাজে যেতে হবে,, হাটা শুরু করলাম,, আর ভাবছি কি করবো। মাথাটা যেন ঘুরছে। অনেক্ষন হাটার পর কাজে গেলাম।তার পর কাজ শুরু করলাম। দুপুর হলো অনেক খিদে পেয়েছে,, তাই একটা দোকানে ঢ়ুকে একটা পাওরুটি পানি দিয়ে চুবিয়ে খাচ্ছি। এমন সময় হটাৎ আমার বন্ধু চারুর সাথে দেখা। চারু আমার ক্লাস মিট। ও কলেজ থেকে বাগি ফিরছিলো। আমার সব কিছুই চারু দেখে ফেলেছে,,, মান সম্মান ভাবছি কিছুই আর রইলো না।চারুঃ সাফিন,,তুই,,,আমিঃ হুম আমি,,, কেমন আছিস,,?চারুঃ আমি ভালো আছি,, তুই কেমন আছিস,,,?আমিঃ এইতো আমি অনেক ভালো আছি!চারুঃ কেমন ভালো আছিস তাতো দেখতেই পারছি!আমিঃ ইয়ে না মানে,,চারুঃ কি চাকরি করিস,,,?আমিঃ মার্কেটিংএমন সময় বস আমার সামনে,,, দুর শালার মেজায টাই খারাপ হয়ে গেলো। বস বললো এই জন্যই তো কাজ ভালো হয় না। কাজ করতে মন না চাইলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে মেয়েদের নিয়ে পড়ে থাকো। পাওরুটি টাও পুরো খেলাম না। আবার কাজ করতে শুরু করলাম। বিকেল বেলা অফিসে গিয়ে বসের সাথে দেখা করলামবসঃ সাফিন কাজের কি অবস্থা,,,,?আমিঃ এইতো মোটা মুটি,,?বসঃ এই সব মেয়ে দের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো,, দেখবে কাজ আরো ভালো হবে। আমিঃ ইয়ে না মানে,,,,,,,বসঃ হয়েছে যাও বাসায় চলে যাও,,,,,আমিঃ একটা কথা বলতাম,,,,,,বসঃ কি কথা,,,,,?মানেঃ আমার তিন দিন ছুটি লাগবে,,,, আমার চাচাতো বোনের বিয়ে,,,,,,বসঃ তিনদিন তো দেয়া যাবে না যাও তোমাকে দুদিন ছুটি দিলাম,,,,, আমিঃ জী বস চলবে,,,,,কিছু টাকা অগ্রিম দেয়া জাবে আসলে অনেক খরচ আছে,,,,,,বসঃ আচ্ছা জামেলায় পড়লাম তো,,, মাস শেষ হওয়ার আগে আমি এক টাকাও দিতে পারবো না।তার পররচলে আসলাম। শালা টাকাতো দিলো না আরো ঝারি শুনতে হলো। কিন্তু টাকাটা যেভাবে হক যোগাল করতেই হবে,,, সখের মোবাইল টা বিক্রি করে দিলাম। কিন্তু মোবাইলের যা দাম পেলাম তা দিয়ে কিছুই হবে না। হাতের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বন্ধু সিহাব আমাকে একটা অনেক দামি ঘড়ি গিফ্ট করেছিলো। মনে মনে ভাবলাম বন্ধু আমায় ক্ষমা করিস। তোর বন্ধু আজ ভজলো নেই,, তোর দেয়া সৃতি টুকুও আজ শেষ করে দিলাম। ঘড়িটাও বিক্রি করে দিলাম। কখনো ভাবিনি আমার জীবন টা এমন হয়ে যাবে। তার পর বাসায় গেলাম। সবাইরকে নিয়ে একটা মার্কেটে গেলাম। আব্বুর জন্যা দুটো পান্জাবি,,, আম্মুর জন্য দুটো শাড়ি,, আর জবার জন্য ওর পছন্দ মতো দুটো জামা নিলাম। তার ফাকে আমি একটা দোকানে ঢ়ুকে একটা সিম্পল ফোন কিনে নিলাম। সব কিছু মিলিযে টাকা শেষ,, আমার জন্য কিছুই নিতে পারলাম না। ভাবছি আমার লাগবেও না। যা আছে তাতেই চলবে,,সবাইকে নিয়ে বাসায় রওনা দিলাম,,রাতেনখাবার খেয়ে আমি রুমে গিয়ে শুয়ে আছি।এমন সময় জবা এশে দরজা টা লাগিয়ে দিলো,,,জবাঃ তোমার জন্য কিছু কিনো নি,,,?আমিঃ আমার লাগবে না,, তা ছাড়া আমার তো আছে,,,,জবাঃ কি আছে,,আমি তো জানি,,!আমিঃ,,,,,,,,,,,,,, (নিস্চুপ)জবাঃ তোমার ফোন কোথায় তাতে এটা কার ফোন,,?আমিঃ সব বললাম,!জবাঃ তাই বলে তোমার সখের মোবাইল আর তোমার বন্ধুর দেয়া গিফ্ট বিক্রি করে দিলে,,,,?আমিঃ মাবাইল দিয়ে আমি কি করবো। তাছাড়া মোবাইল চালানোর সময় নেই,,,, জবাঃ একটু দাড়াও আমি আসছি!(তার পর জবা আলমারি খুলে একটা পেকেট আমার হাতে দিলো)আমিঃ কি এটা,,,?জবাঃ পান্জবি,,,আমিঃ কোথা থেকে,,,জবাঃ আজ মার্কেটা থেকে কিনেছি,, আমি জানি যে তুমি নিজের জন্য কিছুই কিনবে না।আমিঃ আপনি টাকা কোথায় পাইছেন,,,?জবাঃ আমার জমানো সামান্য কিছু বাবার বড়িতে টাকা ছিলো। তা দিয়ে কিনেছি,, আচ্ছা এতো প্রশ্ন না করে দেখোতো পান্জাবি টা তোমার পছন্দ হয়েছে নাকি,,,, আর প্লিজ পান্জাবি টা তুমি অবশ্যই পরবে।আমি অনেক সখ করে কিনেছি তোমার জন্য।,,,তার পর আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পাড়লাম না। জবার হাতটা ধরে একটান দিয়ে জবা কে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কাদঁতে শুরু করলাম। জবা আমাকে এতো ভালোবাসে আর তাকে আমি দিনের পর দিন শুধু কষ্টই দিয়ে যাচ্ছি। জবাও আমাকে জড়িয়ে দরে কেদেঁ দিলো। এই প্রথম আমি জবাকে স্পর্স করেছি। আমার কান্নাঁ যেন থামছেই না,,, কান্নাঁ করতে করতে জবাকে বলছি,,, আমি আপনাকে এতো কষ্ট দি তাও আপনি আমাকে কেন এতো ভালো বাসেন হুম,,?
তার পর জবাকে অনেক্ষর জরিয়ে ধরে রাখলাম।তার পর জবা কে বললামআমিঃ আমি আপানাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাইনা,,?জবাঃ তোমার কনো কষ্ট আমার কাছে কষ্ট লাগে নি। কারন আমি তোমার বাবা মায়ের আদর পেয়েছি।আমিঃ আর কনো দিনও আপনাকে কষ্ট দিবো না। জবাঃ জানো সাফিন আমি না জানতাম তুমি আজ না হয় কাল ঠিক আমায় মেনে নিবে। আর আমি না তোমায় অনেক ভালোবাসি।আমিঃ হয়েছে এবার ছাড়ো। চলো খাবার খাই অনেক ক্ষিদা লাগছে,,জবাঃ আরেকটু জরিয়ে থাকিনা প্লিজ। আমার না অনেক ভালো লাগছে। তার পর সবাই একসাথে বসে রাতে খাবার খেলাম। কাল আমার চাচাতো বোনের বিয়েতে যেতে হবে । আমার চাচা আমাদের পাশের গ্রামেই থাকে। সকাল বেলা আমি জবা আর বাবা মা কে নিয়ে রওনা দিলাম। বিয়েতে অনেক আনন্দ করলাম। ওহ একটা কথা বলতে ভুলেই গেছিলাম। আমার চাচাতো বোন ও আমার ক্লাস মেট। হায়ে হলুদে সবাই যার যার মতো পান্জাবি পরলো। আমি জবার পান্জাবি টা পরলাম।তার পর বাইরের দিকে আসলাম আসতেই দেখি জবা আমার সামনে। জবা আমাকে দেখে বললো আরে বাহ তোমায় তো পান্জাবি টায় বেশ মানিয়েছে। তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।আমিঃ আপনাকেও অনেক সুন্দর লাগছে। জমাটায় বেশ মানিয়েছে।জবাঃ আচ্ছা নিজের বউকে কেউ আপনি করে বলে হুম,,?আমিঃ আপনি আমার বর আপনাকে তো আপনি করেই বলতে হবে।জবাঃ না আপনি বলা লাগবে না। তুমি করে বলবে। বিয়েতে এতো লোক সবাই জদি যানে যে তুমি আমায় আপনি করে বলো তাহলে মান ইজ্জত তোমারই জাবে। আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে আজ থেকে তুমি করে বলবো। জবা হেসে বললো আচ্ছা যাও বাইরে হলুদ এ যাও, আমি বাইরে গেলাম গিয়ে নিরব একটা যায়গায় বশে আছি।এমন সময় দেখি চারু, ওকে দেখে আমি অবাক হলাম।চারুঃ কিরে সাফিন তুই,,?আমিঃ আরে আমার চাচাতো বোনের বিয়ে আর আমি আসবো না। চারুঃ তার মানে তোর বউ নিয়ে এসেছিশ। চল আমাকে তোর বউকে দেখাবি। আমিঃ আরে দেখতে পারবি ওয়েট কর। চারুঃ আচ্ছা তোর কি এখন পড়া লেখা বন্ধ নাকি,,? আর কি চাকরি করিশ যে তোকে দুপুর বেলা পাওরুটি খেয়ে থাকতে হয়। আমিঃ এই শেরে ছে রে, সব বুজি চারু বুঝতে পেরে গেছে,, এখন আপাদতো একটা মার্কেটিং চাকরি করছি। আর পড়া লেখাতো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। আর জে টুকু পড়ছি এর থেকে ভালো কি চাকরি পাব বল।চারুঃ তাওতো ঠিক দেখ কি করা যায়।চারুর শাথে কথা বলেই যাচ্ছি।এমন সময় জবা দুর থেকে আমাকে দেখতে লাগে। আমি চারুর শাথে কথা বলচি এটা দেখে জবা আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। তাও আমি কথা বলেই যাচ্ছি। একটু পর চারু বললো কিরে এবার তো তোর বউকে দেখা। আমি চল দেখাবো।আমিঃ ওই দেখ,,,,,,চারুঃ আরে এই তোর বিয়ে করা বড় আপু। ওই তোর বউ তো বেশ সুন্দর।আমিঃ কার বউ দেখতে হবে না। সেদিন চলে গেলো পরের দিন বিয়ে। সারা বাড়ি হই চই সব্দ। প্রায় দুপুর হলো খাঃয়া দাওয়া শুরু হলো। একটু পর বর যাত্রি চলে আসলো। বিয়ের অনুষ্টান প্রায় শেস। আমি এখন বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে কারন বস মাত্র দুদিন ছুটি দিশে। বাবা মাকে বললাম জাবো গা কিন্তু আমার চাচা কিছুতেই বাবা মাকে যেতে দিবে না। আরো দুদিন নাকি থাকতে হবে।আমি জবাকেও তাদের সাথে থাকতে বলে চলে আসরাম।পরের দিন কাজে বের হলাম গিয়ে দেখি আজ অফিশে আর এম সাহেব এশেছে। মানে আমার বসের বস। আমি অফিশে প্রবেশ করি এবং সবাইকে সালাম দি। আর এমঃ সাফিন কাজ কেমন চলছে,,?আমিঃ জ্বী বস ভালো!আর এমঃ আজ জদি তুমি ভালো কাজ করে দেখাতে পারো মানে জদি আজ ৩০ হাজার টাকার অর্ডার নিতে পারো তাহলে তোমার বেতন ১৪ হাজার থেকে সোজা ১৮হাজজর হয়ে যাবে।আমি বেশ চিন্তায় পরে গেলাম। এই সুযোগটা যেভাবে হোক কাজে লাগাতেই হবে। এক বুক মত বল নিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়লাম। সারাদিন কাজ করলাম সন্ধা হয়ে গেছে কিন্তু আমি বসের টার্গেট এখনো ফিলাপ করতে পারি নি। রাত নয়টা পর্জন্ত কাজ করে বসের টার্গেট ফিলাপ করি। মন টা খুশিতেই ভরে যায়। জাক এবার অন্তত পরিবার টা ভালো করে চালাতে পারবো। বাড়ি দিগে রওনা হলাম। পথে সিহাব এর সাথে দেখা। সিহাবঃ কিরে তোরে তো এখন দেখাই যায় না।আমিঃ আরে তুই তো জানিশ আমার এখন কি অবস্থা। সিহাবঃ হুম তা জানি। তো কই জাশ,,?আমিঃ এইতো বাসার দিকে যাই!সিহাবঃ চাকরি কেমন চলে,,?আমিঃ বন্ধু কনো রকম চলে তবে আজ একটু ভালো কিছু হবে মনে হচ্ছে। সিহাবঃ মানে,,?আমিঃ বেতন টা বারতে পারে মনে হয়,,সিহাবঃ ট্রিট দিবি না,,?আমিঃ আরে শালা আমি আগে কনফ্রাম। তো হই যে বেতন টা বাড়বে কিনাসিহবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে চলতে শুরু করছি। হটাৎ অচেনা নাম্বার থেকে কল।আমি,,,হ্যালো,,,কে,,,?£££ঃ আপনার নাম সাফিন,,?আমিঃ হুম,,£££ঃ আপনার বেনত বারানো হয়েছে,,,সত্যি এতটাই খুসি লাগছে যে বলে বুঝাতে পারবো না। বাসায় যাবো এমন সময় মনে হলো মিষ্টি কিনা দরকার। দিলাম আবার সিহাব কে কল,,,,আমিঃ সিহাব,,,তুই কই,,?সিহাবঃ এইতো আমি দোকানে আছি!আমিঃ ারে বন্ধু বেতন তো বাইরা গেছে,,!সিহাবঃ এবার ট্রিট দিয়ে যা।আমিঃ তোর কাছে কিছু টাকা হবে আসলে এতো খুসির একটা সংবাদ। বাসায় যদি মিষ্টি না নিয়ে যাই কেমন দেখায় বল,,,আমি বেতন পেলে তোকে দিয়ে দিবো,,,,সিহাবঃ শালা ট্রিট তো দুরের কথা। আরো টাকা চাইছিস। আচ্ছা তুই দোকানে আয়,,,,,সিহাবের কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে মিষ্টি কিনে বাসায় গেলাম। দরজায় নক দেয়ার পর বাবা দরজা খুললো। বাবাকে সালাম করে মা কেউ সামাম করলাম। আর বললাম মা বাবা আমার না বেতন বারছে,,বাবা মা খুব খুসি হলো, তার পর মিষ্টির প্যাকেট টা খুলে বাবা মা কে খাইয়ে দিলাম। আর আস্তে আস্তে করে আমার রুমে ঢ়ুকতে লাগলাম। গিয়ে দেখি জবা শুয়ে চুল ঠিক করছে। পিছন দিকে যেয়ে ওকে জরিয়ে ধরে কোলে তুলে নিলাম।জবাঃ কি ব্যাপার আমার বরটা কে আজ একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে কেন,,,?আমিঃ একটা না খুসির সংবাদ আছে!জবাঃ তাড়া তাড়ি বলো আমার আর সইছে না।আমিঃ আমা না বেতন বারছে,,জবার চোখের কোনে তখন পানি চলে আসলো। জবার আমার মুখে হাত দিয়ে বললো যাক তোমার কষ্ট টা এবার একটু কমবে। এমন সময় বাবা আবার ডাকলো। দুর মাত্র বউ টারে একটু আদর করমু এমন সময় ডাক। যাই হোক আগে বাবা। তাই বাবার রুমে গেলাম।বাবাঃ সাফিন বাড়িতে না একা একা আর ভালো লাগে না।আমিঃ আরে তুমি একা কেন মা আছে জবা আছে।মাঃ আরে দুর আমাদের কি নাতি নাতনির মুখ দেখতে ইচ্ছা করে না। আমাদের কি দাদা দাদু ডাক সুনাবি না।আমি উঠে চলে গেলাম। একটু লজ্জা পাইচি। কিন্তু বাবা মা তো জানে না যে আমি মাত্র ২ দিন হলো জবাকে মেনে নিছি।তার পর আবার জবার কাছে গেলাম। জবা বললো কিহলো এমন হয়ে আছো কেন,,,আমিঃ বাবা মা না একটা বায়না ধরেছে,,!জবাঃ কি বায়না,,?আমিঃ তারা নাি নাতনির মুখ দেখতে চায়। এই বলে জবাকে আবার কোলে তুলে নিলাম। জবা লজ্জায় লাল হয়ে আছে। আমার দিকে তাকাতেই পারছেনা না। তার পর আমি জবাকে নিয়ে আসতে আসতে খাটের দিকে এগিয়ে গেলাম। তার পর,,,,,,
জবাবে কোল থেকে নামালাম।জবাঃ এই কি করছো।আমিঃ আমার সব বন্ধুরা বলে আমি বাসর রাতে বিড়াল কেমন ভাবে মারছি। কিন্তু আমি আমি তো বাসর রাতে বিড়াল মারি নাই তাই আজকে মারবো। জবাঃ এই দেখো আমার কাছে আসবে না আমি তোমার সিনিয়র। সিনিয়রদের কথা সুনতে হয়।আমিঃ আরে রাখো তেমার সিনিয়র। তুমি আমার বউ আমি যা ইচ্ছা করমু। বাবা মায়ের সখ পুরন করমু।তার পর আমি একটু একটু করে জবার দিকে এগিয়ে জাচ্ছি আর জবা একটু একটু করে পিছাচ্ছে। তার পর আমাদের চার ঠোট এক হয়ে গেলো। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম। আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে গেলাম। সারাদিন কাজ করে প্রায় দুপুরের অনেক পর বাসায় আসলাম। এসে আমার রুমে গিয়ে দেখি।জবা শুয়ে আছে। আমি জবাকে খাবার দিতে বললাম। খাবার শেষ করে জবাকে জড়িয়ে ধরলাম।জবাঃ ওই দিনে দুপুরে এশব কি হুম,,?আমিঃ আমার বউরে আমি দিনে জোরাই ধরবো নাকি রাতে ধরবো সেটা আমার ইচ্ছা। জবাঃ ইস সখ কতো।আমিঃ আচ্ছা আমাদের কি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে।জবাঃ জানি না।আমিঃ তুমি কি চাও,,,?জবাঃ আমি ছেলে চাই,,!আমিঃ আচ্ছা হয়েছে এখন আমাকে কিস করো।জবাঃ না করবো না।আমিঃ ওই কিস করতে বলছি না।এই বলে আমি জবাকে কিস করতে শুরু করি। আবার আমাদের চার ঠোট এক হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর দেখি একটা ফোন আসে। ওমা বাদশা কল দিয়েছে। শালা হারামি কল দেয়ার আর সময় পেলি না। যেই বউকে একটু আদর করছি এখনি কল দিতে হবে। ফোনটা রিসিভ করলাম।বাদশাঃ কিরে আমাদের ভুলে গেলি নাকি,,?আমিঃ দুর তোদের কেন ভুলবো? বাদশাঃ আমরা সবাই হালিম ভাইর দোকানে আছি তুই আয়আমিঃ ওকে আসতেছি!তার পর তাদের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি, বাদশা, আবদুল্লাহ, তানভির, সিহাব,, সব হারামি একসাথে বশে আচে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে হারামি গুলা আমায় দেখে একে অপরের কানে কানে কি যেন বলছে আর হাসতেছে। কিছুই বুঝতে পারছি না। ওই তোরা আমায় দেখে হাসছিশ কেন রে।বাদশাঃ বন্ধু দিনে দুপুরেও এসব করিশ। তোর বউ বুঝি তোকে খুব আদর করে,,?আমিঃ ওই দিনে দুপুরে মানে কি। আর আমার বউ আমারে আদর করবে না কি তোরে আদর করবে,,? আবদুল্লাহঃ সেতো তোকে দেখেই বুঝা যায় কেমন আদর করছে। আমিঃ আমারে দেখে বুঝা জায় মানে। ওই আমারে দেখে কি বুঝা যায়।সিহাবঃ তোরে দেখেই বুঝা যায় তোর বউ তোরে কেমন আদর করে।তানভিরঃ বড় আপু বিয়ে কইরা তুমি বেশ সুখে আছো। দিনেও আদর পাও আর রাতেও আদর পাও।এ বলে সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করলো। কিছুই বুঝলাম না আমার বউ আমারে আদর করছে এই শালারা জানে কেমনে। কিছুই তো বুঝতাছি না। পরে আয়নার সামনে গিয়া দেখি আয় হায় হায় আমার তো পুরো ঠোট লাল হয়ে আছে। জবারে যে কিস করছি লিপিষ্টক লেগে আছে। মান ইজ্জত বুঝি কিছুই আর থাকলো না এদের কাছে।এভাবে প্রায় আট মাস কেটে গেলো। বেশ সুখেই এখন আমার দিন কাটছে। এখন আমি আরো ভালো বেতনে চাকুরি পেয়েছি। সিহাব ও বিদেশ চলে গেলো। ও এখন অনেক ভালো আছে। আবদুল্লাহ এখন ভালো একটা দোকানের মালিক। বাদশা এখন খুবই ভালো চাকরি করে। তানভির ও ভালো চাকরি করে। সিহাবের সাথে কথা হয় প্রায় সময়। আর তানভির ঢ়াকাতে থাকে। আবদুল্লাহ আর বাদশা আমি আমরা প্রায় রাতে আড্ডা মারি।এখন জবা প্রেগ নেন্ট আমি বাবা হতে চলেছি। প্রায়ই জবার সাথে আমার দুষ্টু মিষ্টি জগরা হয়। জবা ছেলে চায় আর আমি মেয়ে। জবাকে এখন আমি আমার নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসি। জবার কনো কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না। জবার কাজ করতে কষ্টচ হবে বলে ওর সব কাজ প্রায় আমিই করে দি। জবা জদিও আমায় নিসেদ করে আমি শুনি না। অনেক কষ্ট করার পর আমার জীবনে সুখ নেমে এলো।বুক ভরা সুখ নিয়ে আমি এখন বেচে আছি। একদিন সকাল বেলা অফিশে গেলামা। সারাদির কাজ করার পর রাতে বাসায় ফিরলাম। বাসায় গিয়ে দেখি জবা শুয়ে আছে আমি জবার পাশে গিয়ে বসলাম। এবং জবার মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম। জবাঃ আর তো বেশি দিন নেই! আমিঃ হুম,,জবাঃ আমাদের বেবির জন্য কাপড় চোপড় কিনবা না। আমিঃ এখনি কিনে ফেলবে নাকি,,?জবাঃ হুম, অনেক দিন বাইরে জাওয়া হয় না,, চলনা আজ একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। আর আমাদের বেবির জন্য কিছু কাপড় কিনে আনি।আমিঃ কিন্তু এই অবস্থায় তোমার বাইরে যাওয়া কি ঠিক হবে,?জবাঃ আরে কিছু হবে না। তুমি আছো না। আমি তোমায় ধরে থাকবো।আমিঃ ওকে চলো,!তার পর একটা সি এন জি নিয়ে রওনা দিলাম। কিছুক্ষন পর একটা মার্কেট এর সামনে গিয়ে নাম লাম। জবা আমার ডান হাতের বাহু ধরে আছে। তার পর জবাকে নিয়ে আস্তে আস্তে একটা বেবি সপ ঢ়ুকরাম। জবার পছন্দ মতো ও কিছু বেবি জামা কিলে নিলাম। তার পর জবা কে নিয়ে একটা খেলনা দোকানে গেলাম। আর কিছু খেলনা কিনে নিলাম। তার পর বাসার দিকে রওনা দিলাম।এখন আমরা দুজনেই বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে বেচে আছি। আমাদের বেবি হবে কত স্বপ্ন কত কি। আমি রাতে খাবার খেয়ে ছাদে গিয়ে দাড়িয়ে আছি। হাতে সিগারেট পিছন দিক থেকে কেউ যেনো আমার ঘাড়ে হাত রাখলো। তাকিয়ে দেখি জবা। হাত থেকে সিগারেট টা নিচে ফেলে দিলাম। কারন সিগারেট এর ধোঁয়া জবার নাকে ঢ়ুকলে ক্ষতি হবে। জবাঃ ছাদে কি করছো,,? ঘুমাবে না,,?আমিঃ এমনি দারায় আছি,,!জবাঃ তোমার মুখ এতো সুকনো সুকনো লাগছে কেন,,?আমিঃ না এমনি! জবাঃ তোমায় ছাড়া ঘুম আসছে না চলো তো। অনেক রাত হলো।আমিঃ হুম জাবো!জবাঃ কিছু ভাবছো?আমিঃ হুম দেখনা পুরনো দিন গুলোতে কত কিছু হয়ে গেলো।আমি নিযেও কতো কষ্ট করছি আর তোমাকেও কত কষ্ট দিছি। জবাঃ ওসব কথা আর মুখেও আনবানা। তুমি আমায় কনো কষ্ট দাও নি। আর আমি তো এখন সুখে আচি তাই না। তুমি বাবা মা, সামনে আমাদের বেবি আসবে আমার চেয়ে সুখি আর কে বলো।এভাবে প্রটিটা মুহুর্থ সুখের ঘোরে আমাদের দিন কাটছে। প্রতিদিন এর মতো আজও আমি সকাল বেলা অফিশে চলে যাই। কাজ করছি এমন সময় হটাৎ আমার ফোনে একটা কল আসে। রিসিভ করে দেখি বাবা।আমিঃ হে বাবা বলো,?বাবাঃ তুই তারা তারি হাসপাতালে আয়। আমরা জবাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। জবার অবস্থা ভালো না।তখন যেন হটাৎ আমার মাথায় আকাশ ভেংগে পড়লো। সাথে সাথে হাসপালে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি আবদুল্লাহ বাইরে বেডে বসে আছে। আমায় দেখে বললো,আবদুল্লাহঃ তুই আসছিস,, জবার অবস্থ খুব বেশি ভালো না। বাদশা ভিতরে গেছে জবাকে রক্ত দিতে। জবার রক্ত প্রয়জন।আবদুল্লাহ কথা সুনা মাত্রই এক দৌড়ে গেলাম ডাক্তারের কাছেআমিঃ ডাক্তার সাহেব আমার জবা এখন কেমন আছে।ডাক্তারঃ আপনি জবার কে হন,,?আমিঃ আমি জবার স্বামী।ডাক্তারঃ রোগির অবস্থা বেশি ভালো না। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বাকিটা আল্লাহর হাতে।আমিঃ প্লিজ ডাক্তার আপনি আমার জবার ভালো ভাবে চিকিৎসা করুন। আমার জবার কিছু হতে পারে না। ভিতরে জবার চিকিৎশা চলতেছে আমরা সবাই বাইরে বসে আচি। খুব কাদঁছি আমি। বাবা মা জবার জন্য অনেক কান্না করতেছে। প্রায় রাত ১২ টা বজে গেলো। কিন্তু ডাক্তার এখনো বের হচ্ছেনা কেন,,? আমার জবার কিছু হযনি তো। দুর আমি এসব কি চিন্তা করছি। হটাৎ ডাক্তার বের হলো। আমরানসবাই উটে দাড়িয়ে গেলাম। আমিঃ ডাক্তার,,ডাক্তারঃ আপনার একটি ছেলে হয়েছে,,,,,সবারই তখন খুশিতে মন ভরে গেলো,,,,আমিঃ ডাক্তার,,আমার জবা এখন কেমন আছে,,,? আমাকে ভিতরে যেতে দিন! ডাক্তারঃ,,,,,,,,,,, আমিঃ কি হলো ডাক্তার আপনি কনো কথা বলচেন না কেন,? ডাক্তারঃ রোগির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিলো যে আমাদের দুজন কে বাচনো সম্ভব হয়নি। তাই আমরা চেয়েছি আপনার জবাকে বাচাতে। কিন্তু জবা বললো না আপনাদের সন্তান কে বাচাতে। তাই ওই মুহুর্তে আমাদের কিছুই করার ছিলো না।আমার মাথাটা তখন ঘুরছে। আকাশটা যেন আমার মাথায় এসে পড়লো। দৌড়ে ভিতরে গিয়ে জবাকে জরাই দরে হাও মাও করে কাদঁতে থাকি। জবা এতুমি কি করলে। কেন করলে এখন আমি কিভাবে থাকবো। কিভাবে তোমায় ছাড়া বাচবো। কার হাতটি ধরে বলবো ভালোবাসি। কেন আমায় ছেড়ে চলে গেছো। প্লিজ জবা আবার ফির আসো। দেখো আমি তোমাকে কোথাও আর যেতে দিবো না। কিন্তু না জবা আর ফিরে আসে নি। চলে গেছে না ফেরার দেশে। যেখান থেকে আর কেউ পিরে না। ৭দিন পর,,,,,,,,,,,,,,জবার,,,,,,,,,,, কবরের,,,,,,,,,,,,,,, পাশেজবার কবের মাথার পাশে গিয়ে বসলাম। না চাইতে চোখে পানি টল মল করছে জবার সব সৃতি গুলি চোখের সাম নে ভাসছে। আর বলছি, জবা কেন আমায় ছেড়ে চলে গেছো। কেন আমার সাথে কথা বলো না। আমি কি দোষ করছি। জানো জবা তুমি যাওয়ার পর থেকে আমার না ঘুম হয় না। আমি খুব একা হয়ে গেছি। প্লিজ একটি বার ফিরে আসো না। তোমায় আর যেতে দিবো না। তুমি আমায় ছাড়া কিভাবে আছো। ওখানে গিয়ে আমায় ভুলে গেছো তাইনা,,? কিন্তু আমি কেন তোমায় ভুলতে পারছি না। সারাটা ক্ষন তোমায় মনে পড়ে।আমার জীবনে দুঃখ পেরিয়ে সুখ এসেছিলো কিন্তু সুখ আমার কপালে নেই। আমাকে বাবা মা আবার বিয়ে করাতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি করিনি। কারন আমার ভালোবাসার মানুষ টা বড় কষ্ট পাবে। কে বলেছে জবা আমার পাশে নেই।জবা সব সময় আমার পাশে থাকে। জবার সৃতি গুলি সব সময় আমায় জড়িয়ে ধরে থাকে। জবার মায়া মাঝ রাতে আজও আমায় টানে। আমি আজও জবাকে দেখতে পাই আমার ছেলের মাঝে। আমার ভালোবাসা ব্যর্থ হয়নি। এভাবে প্রতিদিন রাতে আমি জবার কাছে যাই আমার সব কষ্টের কথা জবাকে বলি। মাঝে মাঝে আমার ছেলেকে এনে জবাকে দেখাই দেখো জবা তোমার ছেলে। তোমাকে দেখাতে এনেছি। যে কিনা কনো দিনও মা বলে কাউকে ডাকতে পারবে না। এভাবেই আমার দিন কাটে। বাবা মা ছেলে আর আমি এটাই এখন আমার সংশার। আমার সংশারে আজ সব আছে নেই শুধু জবা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বন্ধুরা পুরো গল্পটি আপনাদের কেমন লেগেছে,,? প্লিজ কমেন্ট করে জানাবেন। আর জারা আমার গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা অবস্যই পাশে থাকবেন। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ার জন্য। জদি কোথাও কনো ভুল ট্রুটি থাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।এই গল্পের,, আবদুল্লাহ,, বাদশা,,সিহাব,,,তানভির,,এরা আমার আসলেই বন্ধু,,,আর চারু যে মেয়েটা সেও আমার বন্ধুআর আমার নাম সাফিন,,, আসলে গল্পটি সম্পুর্ন কাল্পনিক।বাস্তবতার সাথে এর জদিও মিল নেই তভুও এই গল্পটি আমি লিখেছি। শেষ কথা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। জাতে আপনাদের সামনে আরো ভালো গল্প উপহার দিতে পারি।প্লিজ লাইক কমেন্ট নারকরে জাবেন না,,,,,,,,,,,ধন্যবাদ,,,,,,,,
আপনার লেখা সরাসরি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের এডমিনগণ আপনার লেখা যাচাই বাঁচাই করে আমাদের ব্লগে মূল পাতাই আপনার লেখাটি প্রকাশ করবেন ।