রেলগেটের কাছে দাড়িয়ে ছিলাম , এক বৃদ্ধ মহিলা কাছে এসে বলল
“বাজান ২টা টেকা দিবেন !!” মানিব্যাগ থেকে ১০টা টাকা বের করে দিতেই মহিলাটির চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল ।
” কাদছেন কেন ? ”
” বাজান , তোমারে দেইখা আমার ছেলেটার কথা মনে পইড়া গেল
“আপনার ছেলেকে কি বেঁচে নেই?
” আছে বাজান ।
১টাই ছেলে । ছেলেডারে অনেক কষ্ট কইরা লেখা পড়া শিখাইচি । এহন সে ঢাকা শহরের এক মাইয়ারে বিয়া কইরা আর খোজ খবর রাহে না ।
শুনছি হেয় নাকি বিরাট চাকরী করে । পোলা আমার সুখে থাক আল্লাহর কাছে এই দোয়া টুকুই করি । আসি বাজান ” কথাটুকু শেষ না হতেই চলে গেলকয়েকটা টাকার সন্ধানে …।
আমি থ হয়ে কিছুক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম । তাকে বলার মতো কোন ভাষা আমার ছিলো না । তার স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করার সাহস হয়নি । হয়ত মারা গেছে, হয়ত ধুকে ধুকে পড়ে লড়াই করছে মৃত্যুর সঙ্গে কিংবা অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে । ভিক্ষা করে ছেলেকে পড়িয়েছে । আর সেই ছেলে এখন . . .
ধিক্কার জানাই এসব বেইমান সন্তানদেরকে ।।
মায়ের চোখের জলে নিশ্চয় তাদের চলার পথ পিচ্ছিল হবেই একদিন…..।।