❑ যে মেয়েটি আরশোলা টিকটিকি দেখে ভয় পেতে সে মেয়েটি আজ ডাক্তার । তার দিন গুলো আজ পার হয় কাঁটাছেড়া, রক্ত মাংস, আর ডোম ঘরের বিভৎস লাশ গুলো দেখে ।
❑ যে কিশোরী মেয়েটি পায়জামায় সামান্য রক্তের দাগ দেখে ভয়ে আতঙ্কিত হতো সে মেয়েটি আজ তিন সন্তানের জননী । প্রতিবার প্রসবের সময় তীব্র যন্ত্রণা আর রক্তের সাগর পারি দিয়ে একটি করে সন্তানের জন্ম দেয় ।
❑ যে মেয়েটি এক কাপ চা বানাতে গিয়ে কাপ পিরিচ ভেঙে ফেলতো সে মেয়েটি আজ পুরো সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে । তাকে আজ বড় বড় পাত্রে রান্না চড়াতে হয় ।
❑ যে মেয়েটি লজ্জায় ঘর থেকে বের হতো না, কারো সাথে কথা বলতো না। সে মেয়েটি আজ প্রতিদিন যুদ্ধ করে পাবলিক বাসে চড়ে অফিসে যায় । সবার মন রক্ষার্থে সুন্দর করে হেসে হেসে কথা বলে ।
❑ যে মেয়েটি পড়া বলার ভয়ে ক্লাসের শেষ ব্যাঞ্চে বসতো সে মেয়েটি আজ কলেজের লেকচারার। তার মুখ দিয়ে জ্ঞানের কথা গুলো আজ শ্রুতি মধুর হয়ে বেরিয়ে আসে ।
❑ যে মেয়েটি এক সময় পাঁচ কেজি ওজন বহন করতে পারত না সে মেয়েটি আজ শতো কেজি ওজন বহন করে ভার উত্তোলেনে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনে ।
❑ যে মেয়ে আলতা পায়ে নূপুর পড়ে গ্রামের মেঠো পথে হেঁটে যেত । সে মেয়ের পায়ে আজ শক্ত বুট জুতো । Left Right, Left Right শব্দে মুখরিত হয় সেনানিবাস ।
❑ যে মেয়েটি এক সময় ইভটিচিং এর স্বীকার হতো । ভয়ে, লজ্জায় যার মুখ লাল হয়ে যেত সে মেয়েটি আজ আদালতের কাঠ গড়ায় অর্ডার অর্ডার বলে ইভটিচারের ছয় মাসের শাস্তি দেয় ।
❑ যে মেয়েটি সন্ধ্যা হলেই ঘুমিয়ে যেত । শত ডেকেও যার ঘুম ভাঙ্গনো যেত না সে ময়েটি আজ রাত্রি জাগে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নিজ সন্তানের কান্না থামাতে ।
☞ আসলে মেয়েরা পারে মেয়েদের পারতে হয় । সময়ের প্রয়োজনে তারা বদলাম । কোমল হাত হয়ে উঠে শক্ত, স্নিগ্ধ হৃদয় হয় কঠিন। চোখের অশ্রু গুলো হয়ে উঠে প্রতিবাদের ভাষা । আবেগ উচ্ছ্বাস হয়ে উঠে কর্তব্য । কিন্তু কয় জনই বা তাদের পরিবর্তন গুলো কে সম্মান জানায় । কয় জনই বা পারে তাদের সাহস জুগিয়ে বলতে তুমি মা, তুমি বোন, তুমি কন্যা সামনে এগিয়ে যাও!
______নীল_______