অনেক অন্তঃসত্ত্বার মুখেই শোনা যায়, তাঁদের নাকি অহরহ খিদে পায়। তখন নাকি তাঁরা অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন। কী এর কারণ? এতে কি সন্তানের ক্ষতি হতে পারে? উত্তর : এই সমস্যা আপনার একার নয়। অনেকেই আছেন প্রেগন্যান্সির সময় মাত্রাতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া শুরু করেন। প্রেগন্যান্সির প্রথম ৩ মাস, যেটিকে প্রথম ট্রাইমেস্টার বলা হয়, সকাল থেকেই প্রচণ্ড গা বমিভাব হয়, বেলার দিকে খিদে পায়। কারোর কারোর খুব খিদে পায়। এইসময় ভ্রূণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। তাই প্রচলিত ধারণা, গর্ভের সন্তানের খিদের চাহিদা অনুযায়ী গর্ভবতীর খিদে পেতে শুরু করে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন, এসময় মাত্রাতিরিক্ত খাদ্যাভাস শরীরের জন্য ভালো নয়। পর্যাপ্ত আহারই ভালো। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে গা বমিভাবটা চলে যায়। গর্ভাবস্থার সঙ্গে মায়ের শরীর ধাতস্থ হতে শুরু করে। সেসময় গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টি ও বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাট খেতে বলেন চিকিৎসকরা। সেই খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ অ্যাভোকাডো, ভিটামিন A ও Cতে সমৃদ্ধ আম, ওমেগা থ্রি অ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনে ভরপুর কাঠবাদাম বা ওয়ালনাট এবং প্রোটিন ও ফাইবারে ঠাসা কুইনোয়া গর্ভবতী মা ও তার সন্তানের জন্য ভালো। মুখ অরুচি লাগলে খাবারগুলিকে সুস্বাদু করে তুলতে পারেন কয়েকটি সহজ রেসিপির সাহায্য। যেমন –
১. স্যান্ডুইচ বানাতে পারেন। মেওনিজ়ের বদলে দিতে পারেন কাঁচা অ্যাভোকাডোর সরু টুকরো।
২. মিষ্টি না খেয়ে খেতে পারেন আম। মিষ্টি আম দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুইট ডিশ। আম ক্ষীর, আম লস্যি, শ্রীখণ্ড বানাতে পারেন। শুধু শুধু আম খেতে পারেন। কিংবা দুধ-আমের মিশ্রণে তৈরি শেক খেতে পারেন।
৩. ওয়ালনাট বা কাঠবাদাম খেতে পারেন। সকালে
৪ টুকরো ভেজানো আমন্ড খান নিয়ম করে। ক্ষীর, পায়েস, আইসক্রিম, স্যালাডের সঙ্গে খেতে পারেন।
৪. কুইনোয়া খেতে পারেন গরম দুধে মিশিয়ে। মাফিন বা কেকের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কী খেলে অনেকক্ষণ খিদে পাবে না। স্বাস্থ্যের জন্যেও তা হবে পুষ্টিকর –
১. একটি আপেলের সঙ্গে মেশাতে পারেন
২ চামচ পিনাট বাটার।
২. পালংশাক ও ডিমের পোচের সঙ্গে ইংলিশ মাফিন খেতে পারেন।
৩. নাটবার ও একটি ফল খেতে পারেন।
৪. একবাটি মাল্টিগ্রেইন ম্যাকারোনির সঙ্গে টোম্যাটো সস মিশিয়ে খেতে পারেন।
৫. টক দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন বাদাম। এই ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার যদি প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা খেতে পারেন আপনার সঙ্গে তা উপকার করবে আপনার সন্তানেরও। কিন্তু অতিরিক্ত ফ্যাট খাবেন না। মন চাইলেও না। এতে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিজ়, ট্রাইগ্লিসারাইডস্ হতে পারে আপনার।
আমাদের ভিডিও টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে , লাইক , কমেন্ট , শেয়ার , এবং সাবস্ক্রাইব করবেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এর নাম ” Health Tips Chandni ” আমাদের চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না কিন্তু. ধন্যবাদ আমাদের ভিডিও টি দেখার জন্য ..