“কলেজের ক্যান্টিনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে আকাশ।
আকাশটা মেঘলা মেঘলা রয়েছে আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, যেন বর্ষার আবির রংমাখা কালো তুলিতে এঁকেছে আজ আকাশের গায়, প্রকৃতি কেমন শান্ত নিরব আর বর্ষন মুখর।অনার্সে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, খুব ভালো ছাত্র সে, প্রায় প্রতিটি পরীক্ষাতেই ভালো রেজাল্ট করে। পরিবারের সঙ্গে থাকে না, কলেজ হোষ্টেলে থাকে। মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি থাকাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাতে মেতেছে সে। সচরাচর ওকে আড্ডাতে তেমন একটা দেখা যায় না। আড্ডার এক পর্যায়ে কলেজ ক্যান্টিনের বাইরে রাস্তার ধারে চোখ চলে যায় ওর।
একটি মেয়ে দাড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচে, গ্রীষ্মের সমাপ্ত আষাঢ়ের প্রথম তাই ঝড়ে পরছে কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ী। রাস্তাটা রক্তচন্দনের মত লালাভ হয়ে রয়েছে। এর মাঝে মেয়েটাকে যেন স্বর্গের অস্পরাদের মত লাগছে, শম্যালা বর্ণের, লাল শাড়ি আর কপালে ছোট লাল টিপ, যেন পৃথিবীর সমস্থ সুন্দর ওর মাঝে, বৃষ্টির জন্য হয়ত বাসায় ফিরতে পারছেনা; হাতে কলেজের ফাইল। এক দেখাতেই যেন ভালোবাসার ছোঁয়া লেগেছে আকাশের মনে, যেন হাজার পাখিট সুর লক্ষ ফুলেট ঘ্রাণ পেয়েছে ও।
তাই বন্ধুদের কোন কথায় আর কানে যাচ্ছে না তার। যেন কোন এক রাজকন্যাকে দেখেছে সে, ভাবনার রাজকন্যা, কল্পনার অপরিচিতা; ভালোবাসার অপরিচিতা হৃদয়ের সমস্থ ভালোলাগা যেন পেয়েছে আকাশ। হঠাৎ করে সে আড্ডা ছেড়ে একটা ছাতা নিয়ে এগুতে লাগল সেই অপরিচিতার দিকে, কিন্তু ও যাবার আগেই একটা ট্যাক্সি নিয়ে তাতে চলে গেল অপরিচিতা। আর রাস্তার দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি ভেজা হয়ে গেল আকাশ। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তার সেই ট্যাক্সিটার দিকে। মনের মাঝে যেন এক মৃদু হাওয়া বয়ে গেল একপশলা বৃষ্টি ছোঁয়ায়। তার যেন সেই অপরিচিতাকে চাই ই চাই, সে যেন শুধু ওর, অন্য কারো নয়; হতেই পারে না অন্য কারো। ওদিকে বন্ধুরা ডেকেই চলেছে ওকে, কিন্তু সে দিকে কর্ণপাত না করেই বৃষ্টি ভিজে দাঁড়িয়ে আছে আকাশ। মনের গভিরে একটা অাচমকা ভালোবাসা জেগে উঠেছে ওর। যেন এই আষাঢ়ে ছোঁয়াতেই খুজে পেয়েছে ওর মনের ভাবনার রংতুলিতে আঁকা অপরিচিতাকে।- এমন করে বৃষ্টিতে ভিজছিস কেন? বলে উঠল আকাশের বন্ধু সিয়াম। তখনি যেন কল্পনার ঘোর ভাঙ্গলো ওর।
–কি হয়েছে আকাশ, ভিজছিস কেনো?–না, এমনি–ও আচ্ছা, অসুস্থ হয়ে যাবি তো । আয় এদিকে।–হুম চল।যদিও আর আড্ডাতে মন নেই আকাশের, মনের মাঝে সেই অপরিচিতার ছবিটা নাড়া দিয়ে চলেছে। যেন বর্ষার রাজকন্যা তাকে তাই জানন দিয়ে যাচ্ছে, বাইরে এখনো বৃষ্টি পরছে তাই বন্ধুদের সঙ্গে থাকা। না হলে এতক্ষনে হয়ত হোষ্টেলে চলে যেত ও। প্রায় তিন ঘন্টা আড্ডা দেওয়ার পর বৃষ্টি একটু বিরাম নিয়েছে, তাই হোষ্টেলে ফিরে গেল আকাশ আর সিয়াম।
কিন্তু যেন কোন কিছুতেই ভুলতে পারছে না সেই অপরিচিতাকে। মনের মাঝে লেগে আছে তার চিত্র ছবি। তাই এই রাতে ঘুম আসছে না আকাশের। চোখ বুজলেই ভেঁসে উঠছে তার ছবি। তাই আর সেই রাতে ঘুম হয় না আকাশের।পরের দিনের কথা, কাল সেই অপরিচিতাকে দেখার পরই যেন সব কিছু পাল্টে গিয়েছে আকাশের জীবনের, আকাশ যেন আর আগের মত নেই, পড়াতে মন নেই কেমন অগোছালো ভাব। বন্ধুদের সঙ্গেও যেন কেমন সুখহীন হয়ে কথা বলছে, কারো সঙ্গে খুব একটা কথা বলছে না। কলেজের মধ্যে অনেক গুলি বকুল গাছ রয়েছে, যেন সবুজের মায়া ভরা, তবে কোনদিন সে ঐ গাছের তলে বসে নি, আজ সেই গাছগুলোর মাঝে একটি গাছের তলেতে বসে একাকি কাগজ আর কলম নিয়ে কি যেন লিখছে আকাশ আবার কি ভেবে বার বার খাতার পৃষ্টা ছিড়ে ছিড়ে ফেলছে, হয়ত যা লিখবে তা পারছে না। কেমন যেন এক অসস্থি কাজ করছে, কিছু ভালো লাগছে না যদিও কোনদিন এমন হয়নি ওর, কারো জন্য কবিতা লিখেনি, গান কিংবা গল্পও বলেনি কিন্তু আজ তার কবিতা লিখতে মন চাচ্ছে, যে কবিতা হবে ভালোবাসার এক চিঠি যে কবিতা হবে প্রথম প্রেমের গল্পে, কিন্তু না সে কিছুতেই লিখতে পারছে না বার বার ছন্দ হারিয়ে যাচ্ছে।
তাই বার বার খাতার পৃষ্টা ছিড়ে ফেলছে সে। হঠাৎ একটি অচেনা কোন গলার শব্দে থেমে যায় তার কলম, মাথা উচিয়ে থমকে যায় আকাশ। এতো তার সেই বৃষ্টি ভেজা অপরিচিতা, যার জন্য কাল সারা রাত ঘুমতে পারেনি সে, এসেই অপরিচিতা যার রঙ্গে রঙ্গ হারায় রংধনু, পথ হারায় মেঘের দল, এ সেই অপরিচিতা যার ছবি এঁকে মনের দেয়ালে স্বযত্নে রেখেছে সে।মেয়েটা বলল,–ভাইয়া আমি কি এখানে বসতে পারি? আকাশ যেন তখন কল্পনার রাজ্যে অপরিচিতার সঙ্গে, তাই ভুলেই গিয়েছে তার সামনে সেই অপরিচিতা দাঁড়িয়ে।মেয়েটা আবার বলল,
–ভাইয়া, আমি কি বসতে পারি এখানে?আকাশের এবার ঘোর ভাঙ্গলো, সঙ্গে সঙ্গে সে দাঁড়িয়ে বলল,–হ্যাঁ, হ্যাঁ বসুন-বসুন, সমস্যা নেই।মেয়েটা বসে তার একটা বই বের করে শান্ত মনে একদৃষ্টিতে পড়তে লাগল। তাকে আজ কাছ থেকে দেখে আকাশের যেন মনে হচ্ছে এটা আকাশের চাঁদ, বা যেন চাঁদের থেকেও সুন্দর তার রুপ, যেন সে রুপকথার রানী বা মনগহীনের মনমোহিনী। তাই লেখা বাদ দিয়ে একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে আকাশ তার দিকেই। আর কল্পনাতে ভেসে যাচ্ছে,হয়ত কোন এক সকালে হ্যাঁ বৃষ্টি ভেজা সকালে আকাশ আর অপরিচিতা পাশাপাশি হেটে যাবে, ঝরা কৃষ্ণচূড়া আর কদমের অানন্দ যেন তাদের জানাবে স্বাগতম, তাদের ভালোবাসার স্বাগতম। আকাশের বুকে মাথা রাখবে সেই অপরিচিতা…।
হঠাৎ আবার সেই মেয়েটি ডাক দেয় আকাশকে, –কি হলো ভাই, আপনি কি কিছু লিখছেন?তখনি হক-চকিয়ে ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসে আকাশ।–কি কিছু বললেন?–না বলছি আপনি কি কিছু লিখছেন?–না মানে ঐ আর কি।–ও আচ্ছা, ঠিক আছে।আবার পড়ায় দৃষ্টি দেয় মেয়েটি।এবার হঠাৎ আকাশ বলে উঠে,
–আচ্ছা,আপনি কি এই কলেজেই পড়েন?মেয়েটা এমন আচমকা প্রশ্নে কিছুটা চমকে গিয়েই বলল,–হ্যাঁ ভাইয়া, –কোন ইয়ারে?–এবার আমি প্রথম বর্ষ। আপনি?–আমি তৃতীয় বর্ষ। আচ্ছা আপনি কি এখানেই থাকেন?–হ্যাঁ, কলেজের হোষ্টেলে। আপনি?–আমিও। আজ আর বেশি কথা বলা হয়না আকাশের, কিন্তু বেশ উচ্ছাসে মেতে উঠেছে ওর মন প্রাণ। সে অপরিচিতা তো এখানেই থাকে এটাই অনেক, প্রতিদিন দেখতে পাবে তাকে এটাই ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়, যদিও কোন মেঘের কোন চিহ্ন নেই তবুও বৃষ্টি, কিন্তু আজ বৃষ্টিটা খুব ভালো লাগছে আকাশের। যেন এক অানন্দের, ভালোবাসার, সুখের সুর বয়ে নিয়ে এসেছে সে।তাই বেশি দেড়ি না করেই হোষ্টেলে চলে গেল আকাশ, কিন্তু মনমরা হয়ে নয় অনেক খুশি আর ভালোবাসা নিয়ে।পরের দিন আবার তাদের দেখা হয় সেই কলেজ ক্যান্টিনের সামনে, সেই কৃষ্ণচূড়ার তলে আবারো একা দাড়িয়ে সেই মেয়েটি, হয়ত আজো ট্যাক্সির অপেক্ষায়, আকাশ তাকে দেখতে পেয়েই যায় সেদিকে।–কেমন আছেন?
–ও আপনি! হ্যাঁ ভালোই আছি। আপনি?–হ্যাঁ ভালো। আজও কোথাও যাবেন না কি?–হ্যাঁ, কেন বলুন তো?(একটু হেঁসে বলে মেয়েটি)–না মানে পরশু দেখলাম আপনি বৃষ্টি ভিঁজে কোথাও গেলেন তাই।–ওহ্! এই ব্যাপার,আমি এক ফ্রেন্ডের বাসাতে গিয়েছিলাম সেদিন।–ওও,আজও সেখানে যাচ্ছেন বুঝি?–না না, আজ নিউ মার্কেটে যাবো। কিছু কসমেটিক্স কিনতে হবে।–ওও আচ্ছা, আমিও ওদিকেই যাচ্ছি চলুন এক সঙ্গেই যায়।–ওকে ঠিক আছে চলুন।এই ট্যাক্সি নিউ মার্কেট যাবে? বলে একটা ট্যাক্সিকে ডাক দেয় আকাশ। কেমন একটা যেন অদৃশ্য অনুভূতি হচ্ছে ওর। ও আর অপরিচিতা পাশাপাশি একি সিটে। এমন সময় আকাশ সেই মেয়েটিকে ওর নাম জিজ্ঞাস করে।–এটা কেমন হলো বলুন তো?–কোনটা!?
–এই যে আপনার নামটাই জানা হলো না।–ওহ, এই ব্যাপার হাঁসতে হাঁসতে বলে মেয়েটা।–হ্যাঁ, কি নাম বলুন তো আপনার?– ঐশী, আপনার নাম?–আকাশ, আচ্ছা আপনার ফোন নাম্বার টা কি দেওয়া যাবে?–কেনো বলুন তো? (একটু আমতা আমতা করে বলল ঐশী)–না এমনি–আচ্ছা, নিন।এমন করেই কথা বলতে থাকে আকাশ, হঠাৎ ড্রাইভারে বলে উঠে,–দাদা এসে গিয়েছি।
এবার কথা থামিয়ে ট্যাক্সি থেকে নেমে ভাড়াটা দেয় আকাশ,এতে ঐশী বলে, –আরে আরে কি করলেন, আমিই দিতাম তো।–আচ্ছা সমস্যা নেই,বন্ধুই তো।এবার ঐশি মিষ্টি সুরে বলে আচ্ছা। ঐশি মার্কেট থেকে অনেক কসমেটিক্স কিনে আর তাকে হেল্প করে আকাশ । আর মার্কেটের ফাঁকে ফাঁকে দুজনে গল্প করে, কথা বলে। তার পর দুজনে একসঙ্গেই ফিরে আসে, ঐশি নেমে যায় তার হোষ্টেলে আর আকাশ ঐশিকে পৌছে তার হোষ্টেলে ফিরে আসে। আজ সে খুব খুশি,মনেহয় এত খুশি সে আগে কখনো হয় নি।এমন করেই প্রায় রোজই গল্প করে বেড়াতে যায় ঐশি-আকাশ।
খুব আনন্দ করে, ঐশি ভাবে যেন খুব ভালো একটা বন্ধু পেয়েছে, কিন্তু যত দিন যায় আকাশের ঐশির প্রতি ভালোবাসা ততটাই গভীর হতে থাকে কিন্তু ঐশি আকাশ কে নিয়ে এমন টা ভাবেই না। তারা খুব ভালো এক বন্ধু, ঐশি তার জীবনের সব কথা শেয়ার করে আকাশের সঙ্গে আর আকাশ ঐশির সঙ্গে। কিন্তু কিছুতেই আকাশ তার ভালোবাসার কথাটা বলতে পারে না ঐশি কে। এমন করে প্রায় এক বছর কেটে যায়, এখন ঐশি তার বেষ্ট ফ্রেন্ড হিসেবে আকাশকেই জানে। আকাশ এবার থার্ড ইয়ার থেকে ফোর্থ ইয়ারে উঠেছে আর ঐশি সেকেন্ড ইয়ারে। কিন্তু আজও আকাশ তার মনের কথা বলতে পারে নি ঐশিকে। যত বার ভেবেছে আজ বলব ততবার ঐশির সামনে এসেই আর বলতে পারেনি আকাশ, কোন এক অদৃশ্য ভয় কাজ করেছে তার মধ্যে।
কিন্তু এদিকে ঐশির বাবা ঐশির বিয়ে দেবার জন্য ছেলে দেখছেন, এবং পছন্দও করেন ভালো ছেলে, ডাক্তার তাই সম্মন্ধ পাকা করে দেন ঐশির বাবা। কিন্তু এর কিছুই জানে না আকাশ।প্রায় একমাস ছুটির পর আজ কলেজে এসেছে ঐশি। তাই এই বিয়ের কথা জানে না আকাশ। কিন্তু আকাশ ভেবে এসেছে আজ ঐশিকে সে তার ভালোবাসার কথাটা বলবে। আজও সেই প্রথম দেখা দিনের মত আকাটা সেঁজেছে তার ভালোবাসার রংতুলিতে অাঁকা কালো মেঘে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর মাসটা সেই আষাঢ়। আকাশ আজ একগোছা কদম নিয়ে অপেক্ষা করছে সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটির তলে, সেই আজও রাস্তাটা হয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গে রঙ্গিন। যেন তার ভালোবাসার কথাটা বলতেই প্রকৃতি এমন হয়েছে।প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে আকাশ, হঠাৎ রিকশা করে এলো ঐশি, আজও সেই লাল রঙ্গের শাড়ি আর ছোট টিপ পরে এসেছে সে।
কিন্তু হাতে আজ কলেজের ফাইলের পরিবর্তে একটা কার্ড, দেখে মনেহয় কোন বিয়ের কার্ড হবে।ঐশি এগিয়ে এলো আকাশের দিকে কিন্তু আকাশ আজও সেই থেমেই রয়েছে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। এমন সময় আকাশ কিছু বলবার আগেই ঐশি তার হাতে থাকা কার্ডটি আকাশের হাতে দিয়ে দিলো।–ঐশি এটা কিসের কার্ড?–নিজে দেখে নিবে।–আরে বলনা কি?–আমার বিয়ের কার্ড।–কি! যাও ফাইজলামি কর কেনো?–হ্যাঁ আকাশ এটা আমার বিয়ের কার্ড। দেখ না।আর পনের দিন পর বিয়ে। তুমি কিন্তু অবশ্যই আসবে, কি হলো কিছু বলো, আসবে তো?আকাশ যেন কথাটা শুনে কোথায় হারিয়ে গিয়েছে, কোন কথায় আজ তার কানে আসছে না। ঐশি তাই আবার বলল,–কি হলো আসবে তো?আকাশ শুধু একটি শব্দ করলো “হুম”।
ঐশি আবার রিকশাতে উঠে চলে গেল, কিন্তু আকাশের মনে হচ্ছে সে পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্তে, পৃথিবী আর কল্পনা যেন দুটোই মিথ্যে। ঐশি চলে গেল কিন্তু আজও বলা হলো না মনের কথা গুলো, শুধু এই ভালোবাসার নিশ্চুপ সাক্ষী হয়ে রয়ে গেল এই কৃষ্ণচূড়া আর আষাঢ়ে বাদল। আজ আকাশের শুধু চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে,কেন এসেছিলি এই আষাঢ়ে?কেনই বা গেলি চলে?মিথ্যা অভিনয়টা কেন,আমি তোকে কি যাবো ভুলে?মেঘের সঙ্গে আর কি আসবি বল?মনের মাঝে এ কোন কালবৈশাখী দল।এমন করেই হারিয়ে গেল সেই ভালোলাগা, ভালোবাসা, হারিয়ে গেল সেই ক্যান্টিনের আড্ডা। ঐশি হয়ত আজ সুখী কিন্তু আকাশ কি ওকে ভুলতে পারবে কখনো?
এ কি শুধুই আষাঢ়ে ভালোবাসা? আকাশের সাথে যেনো আজো লুকোচুরি ভালবাসার খেলা চলছে। হয়তো আকাশের সাথে লুকোচুরি ভালবাসা খেলেই যাবে সারাজীবন। ঐশী যেনো অপরিচিতা হয়ে এসেছিল আকাশের জীবনে আর অপরিচিতা হয়েই থাকবে।
আকাশের অপরিচিতা যে ঐশী।
—– সমাপ্ত ——
– Khairozzaman Akash