হ্যালো বুন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন আমি ভালো আছি আলহামদলিল্লাহ
পুলিশ নাম টা শুনলেই আমাদের মনের মদ্ধে একটা আতঙ্ক কাজ করে যে এই মনে হই ফেসে গেলাম, কোন অনন্যাই না করলেও একটা ভই থেকেই যাই যে কি বলতে কি বলে ফেসে যাই ,
বর্তমান সময়ে আমাদের হিংস্র তার মধ্যেও এমন এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের কথা না বললেই নই ,
তেমনি ভাবে একজন মানবিক পুলিশ শওকত হোসেন যার কথা না বললেই নই
আমি ওনার কার্যকলাপ দেখে রীতিমতো বার বার অবাক হয়ে যাই যে মানুষ এত ভালো হই কিভাবে ??
আমরা যেখানে নিজের স্বার্থ নিয়ে বেস্ত সেখানে উনি অন্নের স্বার্থ নিয়ে রাত দিন বাস্ত ওনার একটা ইন্টারভিও তে বলেছিলেন যে গত ৭ বছর যাবত নাকি উনি ঈদ এ একটা নতুন পাঞ্জাবী কিনেন নাই ওনার বউ কেও কিছু কিনে দিতে পারেন নাই ,
সমস্থ কিছু তিনি গরিব অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন ,
কি বিশ্বাস হচ্ছে না ?
” চলুন ওনার কিছু কার্যক্রম দেখি তাহলে আপনি ও বুজতে পারবেন যে উনি আসলেই কি !
মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি আমরা চেয়েছি যারা একেবারে অসহায় দরিদ্র , বা রাস্তার ভাসমান মানুষ টাকা দিয়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল কিংম্বা সাবান বা মেডিসিন ক্রয় করার মত ক্ষমতা নেই ,তাদের নিকট এই প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুলি তুলে দেওয়া যাতে তারাও এই কভিড১৯ বা করনা মোকাবেলায় একধাপ এগিয়ে থাকে ৷

সেলক্ষ্যেই আমরা দুই ধাপে প্রথম ধাপে এম কে রহমান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ৫০০ প্যাকেট এবং পরে মানবিক পুলিশ ইইনিটের মাধ্যমে আরো ৫০০ প্যাকেট মোট ১০০০ এক হাজার প্যাকেট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও হাইজেনিক + খাবার বিতরন করি ৷ স্পেশাল ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের প্রথম ধাপের স্পন্সর চট্রগ্রামের সন্তান এম কে রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব তৌফিকুর রহমান তুহিন ভাই কে ৷

তাই সবার প্রতি অনুরোধ শুধূ বিরিয়ানির প্যাকেট না দিয়ে ভাসমান মানুষদের ইমিউনিটি সিষ্টেম গ্রো করার জন্য বিকল্প চিন্তা এখন শুধু সময়ের দাবি ৷ কারন এরা সুস্থ্য থাকলেই দেশ সুস্থ্য থাকবে ৷
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি “
” নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগন্জ থানার গ্রাম+পোষ্ট+ইউনিয়ন+ চরফকিরা , ৫নং ওয়ার্ড কদমতলী নামক জায়গার হতদরীদ্র রিকশা চালক কালাম মিয়া ৷ এক বছর আগে দূর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান তারপর থেকে টাকার অভাবে গ্রাম্য পাতালতায় কবিরাজী চিকিৎসা করে , ফলাফল যা হবার তাই হলো , পাটি তার সম্পৃর্ন পছে ক্যান্সার হয়ে যায় ৷

কালাম মিয়ার ঘর ভিটাটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই , তার উপর বিবাহ উপযুক্ত পাঁছ মেয়ে দুজনের কোন রকম বিয়ে দিলেও আরো তিনজন মানুষের বাড়িতে ঝী এর কাজ করে তাদের পেট চালায় ৷ স্ত্রী ও তাকে ছেড়ে অকালে না ফেরার দেশে চলে যায় ৷ তাকে এখন সেবাযত্ন করে একমাত্র তার বৃদ্ধা মা ৷ পায়ের পঁছা দুঃর্ঘন্ধে এলাকাবাসীও তার কাছে আসে না ৷ পঁছা পায়ের যন্ত্রনায় প্রতি নিয়ত ছটপট করলেও সাহায্যের কোন আশা নেই ৷
ব্যাপারটি জানতে পারার সাথে সাথে অসহায় রিকশা চালক কালাম মিয়াকে মানবিক পুলিশ ইউনিটের পক্ষ থেকে নগদ ১০০০০ দশ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেই যাতে সে এম্বুলেন্স ভাড়া করে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী হতে পারে ৷ আর এই টাকা স্পন্সর করেছে আমার আমেরীকা প্রবাসী এক মা ও ঢাকার জুঁই আন্টি ৷
সেই সাথে মেডিকেলে তার পা কেটে বাদ দেওয়ার অপারেশনে সমস্ত খরচ মানবিক পুলিশ ইউনিট বহন করবে ৷ এবং তার একটি মেয়ের বিয়ের খরচ মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি বহন করবে বলে আমরা তাকে আশা দিয়েছি ৷

বিঃদ্রঃ— একজন মানুষ পঁছে যাওয়া পা নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট করছে নিরবে চিকিৎসার অভাবে , আর আপনি প্রতিবেশি হয়ে তাকে সাহায্য না করে হজ্ব করে হাজী সাহেব টাইটেল নিচ্ছেন ?
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি “
” গোলাম মোস্তফা পেশায় একজন নির্মান শ্রমিক , থাকে নগরীর আকবরশাহ এলাকায় ৷ সংসারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন ৷ কাজ বন্ধ তাই খাবারের সংকট , কিছুদিন ত্রানের চালে সংসার চললেও এখন তাও বন্ধ ৷ উনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সহায়তার জন্য আসেন— দুই ঘন্টা যাবৎ পায়ে হেটে ওনার পকেটে একটি টাকাও ছিলো না ৷

আমরা মানবিক পুলিশ ইউনিট ওনাকে নগদ ৩০০০ তিন হাজার টাকা সহায়তা করি যাতে উনি ফ্যামেলি নিয়ে কিছুদিন ভাল থাকতে পারে ৷ আর এই টাকা স্পন্সর করেছে আমেরিকা প্রবাসি ইন্জিনিয়ার আমিন আঙ্কেল ৷ এরপর ওনাকে একটি রিকশা ভাড়া দিয়ে উঠিয়ে দেই ৷ ওনার নিকট রিকশাভাড়াটুকুও ছিলো না , মানুষের দুঃখ ঘোচানোর মধ্যেই পূর্ন আনন্দ ৷
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি “
” নগরীর টাইগারপাস এলাকার কোন এক বস্তিতে থাকে বাচ্ছা মেয়েটি ,নাম তার বৃষ্টি কয়েক বছর আগে রেল লাইনের ফাঁকে দুটো ৫ টাকার কয়েন পড়ে থাকতে দেখে নিতে গেলে হাত আটকে যায় ট্রেনের লাইনে ৷ তারপর ট্রেন চলে আসে এবং তার হাতটি দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায় ৷ মেয়েটি শিশু অবস্থায় তার বাবাকে হারায় ৷ ঘরে থাকে আরো দুজন সদস্য অসুস্থ্য মা আর ছোট ভাই ৷

তাদের মোট তিনজনের সংসারের চাকা ঘুরে ছোট এই বৃষ্টির ভিক্ষার টাকায় ৷ যে বয়সে তার স্কুলে যাবার কথা , দুরন্ত শৈশবে মেতে থাকার কথা সে বয়সে সে সংসারের হাল ধরেছে ৷ বাচ্ছাটির একটি হাত নেই অন্য হাত দিয়ে সে যখন আমার নিকট ভিক্ষা চাইছিলো আমার তখন মনে হয়েছিলো আমার ছোট বোনটা আমার নিকট হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছিলো ৷
আমরা মানবিক পুলিশ ইউনিট বাচ্ছাটিকে নগদ ২০০০ দুই হাজার টাকা তার হাতে তুলে দিই , যাতে তারা ঈদের দিন অন্তত ভাল কিছু খেতে পারে ৷ আর এই টাকা স্পন্সর করছে আমেরিকা প্রবাসী ইন্জিনিয়ার আমিন আংঙ্কেল ৷ নিশ্পাপ চোখের খুশি পৃথিবীর সবছেয়ে বড় আনন্দ ৷
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি “
” দামপাড়া ওয়াসা মোড়ে বিশ্ব মসজিদের সামনের একজন চা দোকানদার , এই দোকান করেই তার সংসার চলে ৷ কিন্তু লকডাউনের কারনে আজ প্রায় তিনমাসের মত তার দোকান বন্ধ ৷ বাসায় ত্রানের পাওয়া সামান্য চাল ডাল ও শেষ ,

এখন উনি না পারছে রাস্তায় হাতপাততে না পারছে বাসায় কান্না করতে, সংসারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে খুবই টানাপোডনে আছে ৷ এই দুঃসময়ে ওনার পাশে আমরা মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি দাড়াই ৷ অন্তত ঈদ পর্যন্ত যাতে উনি ফ্যামেলি নিয়ে একটু ভাল থাকতে পারে এজন্য ওনার হাতে আমরা নগদ ৪০০০ চার হাজার টাকা তুলে দেই ৷ আর এই টাকার তিন হাজার টাকা স্পন্সর করছে আমেরিকা প্রবাসি ইন্জিনিয়ার আমিন আঙ্কেল ও এক হাজার টাকা স্পন্সর করছে মানবিক পুলিশ ইউনিটের সক্রিয় সদস্য রবিউল হোসেন ৯ এপিবিএন ৷ এভাবেই ছড়িয়ে যাবে মানবিকতা ৷
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএম পি ”
“বগুডার আনোয়ারুল জন্ম থেকেই শারিরিক প্রতিবন্ধি , চট্রগ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে ৷ তার শারিরিক কারনে কোন পেশার সাথে সে জড়াতে পারে নি ৷ এবং তার বর্তমান বয়স প্রায় ৩৫ এখনো সে বিয়ে করতে পারে নি ৷ কেউ তাকে পছন্দ করে না , তার শারিরিক গঠনের জন্য ৷ ফলে সে বিয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছে ৷ এমকি সে ঠিক মত তার বডীর জন্য ঘুমাতেও পারে না ৷

করনার এই প্রাদুর্ভাবে সারাদিন রাস্তায় না থেকে তার ও বিশ্রামে থাকা প্রয়োজন ৷ তাই তার মাদ্রাসায় পড়া ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে যাতে কিছুদিন বাসায় বিশ্রামে থাকতে পারে এজন্য মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপির পক্ষ থেকে নগদ ৫০০০ পাঁছ হাজার টাকা আনোয়ারুলের হাতে তুলে দেই ৷ আর এই টাকা স্পন্সর করছে আমার আমেরিকা প্রবাসি এক মা ও জুঁই আন্টি , এভাবেই ছড়িয়ে পড়ুক মানবিকতা ৷
আল্লাহ তাআলা যে আমাদের কত সুখে রাখছে তার জলন্ত দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই আনোয়ারুল ৷ তাই আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি ৷
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি “
” নাম পারভিন বেগম থাকে কোন এক বস্তিতে , মানুষের বাড়িতে ঝী এর কাজ করতো ৷ এক দুর্ঘটনায় আগুনে তার মুখ ঝলসে যায় ঠিক মত খেতে বা কথা বলতেও পারে না ৷ অপর দিকে রিকশা চালক স্বামীও অসুখে শয্যাশয়ী তার সেবাযত্ন করে শাশুড়ি ৷ আর চার বাচ্ছাকে নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরোয় পারভীন ৷

আজ সারাদিনে পেয়েছে ১০০ টাকা এই টাকা দিয়ে ঔষধ কিনবে নাকি ৬ সদস্যের খাবার কিনবে নাকি বাচ্চাদের চাহিদা মেটাবে তা পারভিনের অজানা ৷ তবে আমাদের মানবিক পুলিশ ইউনিটের চোখে ব্যাপারটি পড়লে আমরা তাদের ৬ সদস্যের জন্য নগদ ৬০০০ ছয় হাজার টাকা পারভিনের হাতে তুলে দেই ৷ যাতে অন্তত কিছুদিন তারা বাসায় থাকে ৷
ছোট ছোট বাচ্ছাগুলো যাতে রোদে রোদে ঘুরতে না হয়, আর এই টাকা স্পন্সর করেছে আমার আমেরিকা প্রবাসী আম্মু ও ঢাকার জুঁই আন্টি ৷ সবার প্রতি অনুরোধ মানুষের দুঃখ গুলো মনদিয়ে অনুভব করুন দেখবেন আপনার দুঃখ থাকবে না ৷
শওকত হোসেন ”
এমন আর শত শত কাজ উনি করে রেখেছেন , আমি আপনি কইটা করেছি ?
এই ভালোবাসার মানুষ টির জন্য দোয়া রইলো ভালো থাকবেন শওকত হোসেন