জান্নাতি বৌ পর্ব ১ ভালোবাসার গল্প

–দুদিন ধরে এই পড়াটা দিয়েছি এখনো শেষ করতে পারলে না। লাঠির বারিতে কিন্তুুু পিঠের ছাল তুলে নিবো😠😠। ১৫ দিন ধরে যদি কায়দাটা শেষ করতে না পারো তো কোরআন তিলাওয়াত কবে শিখবা?😠😠😠(আমার বৌ)


,
ষাড়ের মতো চিল্লাচিল্লি করা মেয়েটা হলো আমার বৌ জান্নাতুল শেফা। 😂🤣আসলে যেমনটা ভাবছেন তেমন টা না। এমনি তে উনি অনেক ভদ্র লাজুুক পর্দাশীল। কিন্তুু শুধু তার বর মানে আমাকে একা পেলেই সে হয়ে ওঠে শয়তান,পাজি, বজ্জাত আর দজ্জাল।😘😘
,,
হারামি বৌ টারে বিয়ের আগে কিন্তুু দেখে এমন মনে হয়নি।নাআ বিয়ের আগে তার চেহারা দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। আমি তো তার আচার আচরণ আর কথাবর্তা শুনেই সরাসরি তার বাড়িতে বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে গেছিলাম।😱😱😱😱😱😱
,
চলুন ঘটনাটা খুলেই বলি।
,
ব্যাচেলর পার্টির এক আয়োজনে আমার এক বন্ধুকে কল করলাম আমি পার্টিতে আসার জন্য।
— হ্যালো সালা চুদিরভাই তোর জন্য কি এখন পার্টি লেট নাইটে আয়োজন করবো? 😠😠😠তাড়াতাড়ি আয় নইলে কিন্তু হারামজাদা তোর মায়রে বাপ কইরা ছাইড়া দিমু।😠😠
,
ওপার থেকে কিছু বলার আগেই আমি ফোনটা কেটে দিয়ে পার্টিতে জয়েন করলাম।
,
বাট এর ঠিক ১৫ মিনিট পরে ওই নাম্বার থেকে ফোন আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই
— জ্বি আসসালামু আলাইকুম। আগেই উত্তেজিত হবেন না। আমার কথাটা শুনুন।
,।
আমি তো মেয়েলি কণ্ঠ শুনেই থ হয়ে গেলাম।
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম –আপনি কে?🙄🙄
— আপনি আমাকে চিনবেন না। হতে পারে আপনার কলটা ভূলে রং নাম্বারে এসেছে।


,
নাম্বারটার দিকে তাকিয়ে সত্যি খেয়াল করলাম ৭৪ এর জায়গায় ৬৪ তুলে ফেলেছি।
,
— সরি সরি। আসলে আমিও খেয়াল করিনি। আসলেই রং নাম্বারে ফোন করে ফেলেছি।(আমি)
— ঠিকআছে।আগে আমার কথাটা শুনুুন(মেয়েটা)
— জ্বি বলুুন।
— শুনুন হারাম শব্দের অর্থে অবৈধ আর জাদা শব্দের অথ ছেলে অর্থাত হারামজাদা শব্দের অর্থ অবৈধ সন্তান।
আপনি যাকে ফোন করেছেন সে কি তাই??😂😂
— নাআ মানে আমি তো মজা করে আমার বন্ধুকে বকা দিছি।😞😞
— রাগ, ঝগড়া বা মজা করে কখনোই মুসলিম হয়ে আরেক মুুুসলিম কে গালি দিতে নাই। এটা কবিরা গুনাহ।। আর যাকে গালি দিলেন সে যদি আপনাকে ক্ষমা না করে তবে কেয়ামতের দিন এর কারণে আপনার দায়ী থাকতে হবে।
তাই মজা করেও কখনো সালা,, চুদিরভাই হারামজাদা বা অন্য কোনো গালি কাউকে দেবেন না। আল্লাহু আপনাকে হেদায়েত দিক। ভালো থাকবেন।
— এই শুনুন শুনুন হ্যালো এই
,
কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে দিলো।😢😢
পরে যখন কল ব্যাক করতে গেলাম দেখলাম নাম্বার বন্ধ।
,
সেদিনের পর থেকে রাতের ঘুমটা ওই অচেনা মেয়েটা কেড়ে নিয়েছিলো।
সবসময় তার কথা ভাবতাম কে এই মেয়েটা? এতো সুন্দর ভয়েস। আর কতো নম্র ভদ্রভাবে আমাকে প্রতিটা কথা বোঝালোে।
সারাটা সময় শুধু তার একটা কণ্ঠস্বরই কানে ভেসে আসছে, আসসালামু আলাইকুম।😘😘😘
,
গত ৭ দিন ধরে তার নাম্বারে কল করে যাচ্ছি। ফোন যাচ্ছেই না। বন্ধ বলছে। তবে কি সে সিমটা একেবারে বন্ধ করে দিলো?? এতো পর্দাশীল সে?
অনেকগুলা ম্যাসেজও করছি তবু কোনো রিপ্লে পাইনি।
দিন যতো যাচ্ছিলো আমি ততো হতাশ হচ্ছিলাম কিন্তুু মেয়েটার প্রতি আগ্রহটা তত বাড়ছিলো।😎😎
অবশেষে আশার আলো দেখলাম।
,
প্রায় ১৩ দিন পর ওই নাম্বার থেকে মেয়েটা একটা ম্যাসেজ করলো
— জ্বি ভাইয়া কিছু জানার আছে আপনার? কোনো ইসলামিক ব্যাখ্যা চান?
,
আমি বাথরুম থেকে এসে ম্যাসেজ টা দেখে তড়িঘরি করে আগে ফোন দিলাম। ৩ বার রিং বাজার পর ফোন ধরে সালাম দিলো
— আরে তুমি কই ছিলে। তোমার কোনো ধারণা আছে আমি তোমাকে এই কয়দিনে কতোবার ফোন দিছি কতোগুলা ম্যাসেজ দিছি? তুমি ফোনটা জাস্ট অন করে রাখবা না? (আমি)
— হিহিহি। দেখেছি সব ম্যাসেজ। বাট কোনো দরকার ছাড়া আমি ফোন ইউজ করিনা বা কোনো ছেলের সাথে কথা বলিনা। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে বলতে পারেন নয়তো আমি ফোন রাখলাম
— আরে হ্যালো হ্যালো শুনো প্লিজ।বিশ্বাস করো এভাবে চলতে থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো।
আমি জাস্ট একটা বার তোমার সাথে দেখা করতে চাই। জাস্ট একবার।
— অসম্ভব আমি কেন আপনার সাথে দেখা করবো? আপনার সাথে কথা বলাই তো আমার পাপ হচ্ছে। শুনুন এই যদি আপনার মনের ইচ্ছে হয় তো দয়া করে আর আমাকে ফোন দিবেন না।
আল্লাহ হাফেজ।
,
আবারও হুট করেই ফোনটা কেটে দিয়ে অফ করে ফেললো।
তারপর থেকে ঠিক আগের মতোই তাকে কল করে ম্যাসেজ দিয়ে যেতাম প্রতিদিন। কিন্তুু কোনো উত্তর পেতামনা। একসময় আমার নাম্বারটা ব্লক করে দিলো। পরে আম্মার ফোন দিয়ে ট্রাই করলাম। বুদ্ধি করে মাকে সব খুলে বলে মাকে দিয়েই কথা বলালাম।
,
আম্মা কথা বলার ১ ঘন্টা পর সে আমার নাম্বারে ফোন করলো। হয়তো ব্লক থেকে ছাড়াইছে।
— হ্যালো (আমি)
— এসব কি পাগলামি শুরু করেছেন??😠😠(মেয়েটা)
— কই কি করছি?😢😢
— আপনি নাকি না খেয়ে থাকেন। ঠিকমতো কারো সাথে কথা বলেন না ঘর থেকে বের হন না। ঘরে শুয়ে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করেন?😠😠
,
তারমানে আম্মা খুব ভালোমতোই চাপা মেরেছে। জিও মা। আম্মা তোমার মতো মা হয়না।🤣😂
এবার আমিও একটু চাপা মারতে শুরু করলাম
— ঠিকই তো আছে। মরে যাবো তুমি ছাড়া
তুমি দেখে নিও
— নাউজুবিল্লাহ। এসব কি বলেন?এগুুলো শোনাও পাপ।
— আমি অতোকিছু বুঝিনা আমার সাথে দেখা করবা কিনা বলো??
— আচ্ছা আমার সাথে দেখা করে আপনি কি করবেন?
— কিছুই না। তোমার চেহারা দেখতে চাইনা। বিশ্বাস করো শুধু তোমাকে বোরকার আড়াল থেকেই নিজের চোখে একবার দেখে চলে আসবো।
— দেখুন এসব ঠিক না। কিন্তুু আমি চাইনা কেউ আমার জন্য মনে কষ্ট পাক।কারণ মুসলিম হয়ে কারো মনে আঘাত করা উচিত না। আচ্ছা জামালপুর আসতে পারবেন???
,
ওর কথা শুনে মনে হলো স্বপ্ন দেখছি। ভূল কিছু শুনছি।
–হ্যা খুব পারবো। তুমি বলো তো
আমি এখনই চলে আসছি
— হিহিহি।এতো উত্তেজিত হবেন না। কাল রওনা হবেন। জামালপুর এসে আমাকে জানাবেন। তারপর কোথায় কিভাবে আসতে হবে আমি বলে দিবো।
— আচ্ছা আমি এখনই টিকেট কেটে রাখছি। যাবার প্রস্তুুতি নিচ্ছি।
,
নির্ঘুম এক রাত কাটিয়ে রওনা হলাম অজানা সেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। কি ছিলো বা আছে মেয়েটার মাঝে যার কারণে আমি তার প্রতি এতোটা কৌতুহলী আর আবেগী হয়ে উঠলাম সেটা জানিনা তবে এখন চাওয়া একটাই সে যে বা যেমনই হোকনা কেন তার সাথে আমার দেখা করতেই হবে।
,
প্রায় ৮ ঘন্টার জার্নি শেষে তার কাছে পৌছালাম।
,


গিয়ে দেখলাম খোলামেলা একটা পাব্লিক প্লেসে তিনটা মেয়ে কালো বোরকা আর নেকাব পরে দাড়িয়ে আছে।
,
আমি তো তাদের কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম না কার টানে আমি এতোদূর অবধি পাগলের মতো ছুটে এসেছি।
কারণ তার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তার নামটা পর্যন্ত জানিনা।😞😞😞
,
তবে সব কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সে নিজেই তার পরিচয় দিলো সালাম দিয়ে।
তার কণ্ঠস্বর শুনেই বুঝলাম এই সেই মেয়ে যার জন্য আমি এতদিন পাগলের মতো ছটফট করছিলাম।😘😘
আমি আনন্দে কেদে ফেললাম। চোখের পানি মুছতে লাগলাল।
এটা দেখে সে বললো,
— ভাইয়া স্রষ্টার থেকে তার সৃষ্টিকে বেশি ভালোবাসতে নেই।। আপনার যতো কান্না সব আপনার সৃষ্টিকর্তার জন্য
— নানা ঠিক আছে। কেমন আছো তুুমি?? (আমি)
— জ্বি আলহামদুলিল্লাহ।আপনি কেমন আছেন?? সারারাত তো মনেহয় ঘুুমান নি তাইনা??😱😱
,
মনে হয় আমার ফোলা ফোলা চোখ দুটো দেখে বুঝে গেলো।
ওর দিকে তাকালাম।।বলতে গেলে প্রায় আমার মতোই লম্বা ৫ফুট ৪ কি ৫ ইঞ্চি হবে। নেকাবে বাধা মুখটার আড়ালে শুুধু চোখদুটো অসম্ভব সুন্দর লাগছে । কি সুন্দর কালো টানাটানা লম্বা চোখ। চোখের পাতার পাপড়ি গুলো একদম সুবিন্যাস্ত করে সাজানো। ওর প্রতিটা চেোখের পলক যেন ওর প্র্রতি আমার মনের আবেগ কে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।💕💕💞
ওর চোখ দেখে বুঝলাম ও মিট মিট করে বোরকার আড়ালেই হাসছে।😘😘
হয়তো আমি আসাতে ও নিজেও খুশি হয়েছে। হতে পারে ওর মনেও কৌতুহল জেগেছে কে আমি কেমন দেখতে??
,
আমি হিতাহিত জ্ঞান ভুলে সরাসরি ওকে জিজ্ঞেস করলাম
— তুমি কি বিবাহিতা? 🙄🙄
এবারে ও একটু শব্দ করে মুচকি হেসে পেছন দিকে ঘুরলো।
তারপর সামনের দিকে আবার মুখ ফিরিয়ে বললো
— ভাইয়া আমরা কেউ বিবাহিতা না। আমরা সবাই ক্বওমি মাদ্রাসাতে পড়ি। আমার নাম জান্নাতুল শেফা।
আর ওরা….
— থাক বাকিদের কোনো পরিচয় দিতে হবেনা। আমি তোো শুধু তোমার জন্য এখানে এসেছি।আর কারো জন্য না।
আমার নাম ঈশান। বাড়ি গাজিপুুরে। জব করি সাথে স্টাডি।
— আলহামদুলিল্লাহ। আপনার আম্মুু অনেক ভালো। উনাকে আমার সালাম দেবেন।😘
— হুম আমার আম্মুুও তোমার কথা বলে অনেক।
— আচ্ছা অনেক কথাই তো হলো। আর থাকতে পারবোনা। এমনিতে আমার আশাই ঠিক হয়নি। কিন্তুুু ভেবে দেখলাম একবার দেখা করলে যদি কেউ একজন তার পাগলামি বন্ধ করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তাহলে দেখা করতে সমস্যা কি?তবে আর না। এবার বাড়ি ফিরে যান আর এরপর থেকে কখনো আমাকে ফোন বা ম্যাসেজ করবেন না প্লিজ।
,
ওর কথাগুলো শুনে হাসিমুখটা আমার চুপসে গেলো। কিন্তুুু কি করা আমি তো কথা দিছি, দেখা করে ওকে আর জ্বালাবো না।তাই চুপচাপ মাথা নিচু করে মাথা নেড়ে ওকে নিঃশব্দে বললাম, আচ্ছা চলে যাচ্ছি😥😥।😞😞😞
,
এখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এখান থেকে এখন রওনা হলে বাড়ি যেতে আমার রাত ২-৩ বেজে যাবে। গাড়িও পাবোনা।
হয়তো মাঝপথেই আটকা পড়বো কোথাও। বারবার শুুধু ভাবছি সে যদি একটাবার আমাকে আজকের রাতটা তাদের এখানে থেকে যেতে বলতো।
আমার ভাবনা সত্যিই হলো।
— ঈশান ভাইয়া??(শেফা)
আমি চমকে উঠে তার দিকে তাকালাম।সে এই প্রথমবার আমার নাম ধরে ডাকলো।😘😘
— জ্বি বলো (আমি)
— এখন বাড়ি ফিরতে পারবেন না মনেহয়।তাছাড়া মাঝপথে মাঝরাতে গাড়ি না পেলে আপনি থাকবেন কই?আপনার কোনো ক্ষতি হলে তার দায়ভার আমাকেই নিতে হবে। তার থেকে আপনি এক কাজ করেন। আমি সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। আজকের রাতটা আপনি আমার বান্ধবির কাজিন(চাচাতো ভাইয়ের) সাথে থাকেন।
আশাকরি কোনো সমস্যা হবেনা আপনার।
কাল সকালে উঠে চলে যাবেন।💞💕

,
আমার মনে যেন আনন্দ ধরছিলো না।। আমি তার ফিরে যাবার সময় হাসি মুখে বললাম, আজ রাতে কি ম্যাসেজ করতে পারি?? শুধু আজকের রাতটা?
সে আঙ্গুল তুলে আমাকে শাসিয়ে বললো, এখন থেকে নো ম্যাসেজ নো কল।😠😠
,
কিন্তুু শাসানোর মাঝেও তার মনের ভাবানুভূতি টা ভিন্ন কিছু ছিলো সেটা আমি তার চোখ দেখে বুঝেছি। কারণ সে হাসছিলো তখনো।😘😘😏
,
রাতে আর তাকে সত্যিই ম্যাসেজ করিনি। উল্টা সেই আমাকে ফোন করে জেনে নিলো আমার কোনো সমস্যা হলো কিনা বা আমি ঠিকমতো খেয়েছি কিনা।। ভালো লাগলো বাপারটা।💕💞
,
সকাল বেলা তাকে বিদায় জানাতে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো ভীষণ।😞😥
সে আমার ১০ হাত দূর থেকে দাড়িয়ে বললো, কোনো পাগলামি করবেন না। ঠিকমতো খাবেন সবার কথা মেনে চলবেন। নিয়মিত নামাজ পড়বেন আর সমস্ত বাজে কাজ থেকে দূরে থাকবেন।এরপর আর কখনো জামালপুরে আসার কথা ভাববেন না কিন্তুুু।😞😥
ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম আমার মতো ওর চোখ দুটোও ছলছল করছে। কেন ওর চোখদুটো ছলছল করছে সেটা জানিনা তবে মনে হলো আমাকে বিদায় জানাতে ও নিজেও কিছুটা কষ্ট পাচ্ছে।😞😥
এবার আমি খানিকটা হাসিমুখে বললাম, হুম সবকিছু বাদ l এখন থেকে আমার লাইফের উদ্দেশ্যই একটা। আর তা হলো, বাকি জীবনটা তোমাকে জ্বালাতন করে মারা।🤣😂😘😘
,
আমার কথা শুনে তার ছলছলে চোখটা চকচকে উঠলো। সেও হেসে ফেলে বলবো, কিহ!! মাইর খাবেন নাকি? যান ভাগেন তাড়াতাড়ি।😂🤣😎
আমি শেষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলাম তাকে
— চলে তো যাচ্ছিই। বাট আবার ফিরে আসবো। একা না পুরো ফ্যামিলি সহ। তৈরি থেকো।😘😘😘
,
হতে পারে সেও বুুঝে গেছে আমি কি বোঝাতে চাইছি তাকে।
বাড়ি ফিরে সবার আগে মায়ের পা জড়িয়ে ধরলাম
— আম্মু আমার আবদার না মানলে আমি তোমার পা ছাড়ছি না😂🤣
— আরে হারামজাদা উঠ। বল কি হইছে??😠😠
— আম্মু হারামজাদা বলতে নাই। এরমানে অবৈধ সন্তান। আমি কি তাই? 😠😠😠
— ছি ছি!! একটা চড় খাবি। কি বলিস এসব??
— ঠিকই বলছি। হারামজাদার মানে এটাই।😱😱😱
— তোকে কে বললো? আর তোরে এতো ভালোই বা কে বানালো??
— ওই মেয়েটা। আম্মা আমার ওকে চাই ই চাই।নাহলে সত্যি মরে যাবো।😥😞
— বাড়িঘর চিনে এসেছিস?মেয়ে দেখতে কেমন? 😂🤣
— ও দেখতে কালো ভূত পেত্নী যাই হোকনা কেন আমার ওকেই লাগবে। আমার সুন্দরী না সতী বৌ চাই।😘😘😘
তুমি আব্বারে বোঝাও আম্মা। ও আম্মা।😂🤣🤣
— আচ্ছা ঠিক আছে। তোর আব্বার সাথে কথা বলবো।
— আচ্ছা মা থাকো। নামাজ পড়ে নিই আগে। এখন থেকে নামাজ পড়তে হবে। ভালো হতে হবে নাহলে ওকে আমি পাবোনা।
কারণ যার চরিত্র যেমন সে ঠিক তেমন জীবনসঙ্গিনীই পাবে।👍👍👍


,
আমার মা আমাকে দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছে
তার ছেলে এতো বদলে গেলো কিভাবে।
ধীরে ধীরে এক এক করে সব বাজে অভ্যাস ছেড়ে দিলাম।এমনিতে কখনো প্রেম বা মেয়েদের সাথে পিজিক্যালি কিছু হয়নি আমার। তবু যাও বা দু চারটে অফিসের আর ক্লাসের বান্ধবী ছিলো তাদের সাথেও কন্ট্রাক করা ছেড়ে দিলাম।👍👍👍
,
এরমাঝে আমার চালাক আম্মু কৌশলে শেফার সাথে কথা বলে ওদের বাড়িতে যাবার পারমিশন নিয়ে ফেললো।😘😘😘
,
তার পরেরদিন আমরা পুরো পরিবার সহ আবার জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

রাইটার :: রোদ