শারীরিক সমস্যার একটি কারণ- ধূমপান !

 

ধূমপান নিয়ে সবচেয়ে বেশী আলোচনা হয়। এর মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান সমূহ ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হার্টের রক্তনালীকে সরু করে দেয়। ফলশ্রুতিতে ফুসফুসের ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু ধূমপানে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি হয় সেটি হচ্ছে ধূমপায়ীর শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে, ফুসফুস দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ফুসফুসের শুধু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে তাই নয়, ফুসফুসে প্রদাহ ও ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। ধূমপায়ীদের শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় দাম্পত্য সমস্যাও সৃষ্টি করে। এমনকি ধূমপানের কারণে পুরুষের শুক্রানুর ওপরও এর প্রভাব পড়ে। তৈরী হয় নানা জটিলতা। কমতে থাকে প্রজনন ক্ষমতাও। তাই ধূমপান বন্ধে তরুণ সমাজকে এসব সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা করতে এখনই উৎসাহ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, অভিভাবক ও অধূমপায়ী বন্ধু-বান্ধবীরা ভূমিকা রাখতে পারেন। এমনকি জীবন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অধূমপায়ী হওয়া শর্ত থাকতে পারে। তবে অনেকে মনে করেন ধূমপানের ফলে তাদের চিন্তাশক্তি বাড়ে এবং টেনশন কমে। এ ধরনের ভাবনার কোন বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা নেই। তাই আজই ধূমপান ছেড়ে দিন এবং অন্যকে অধূমপায়ী হতে উৎসাহিত করুন। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে প্রচারণা বেশী জরুরী। নিশ্চয়ই তারা চাইবেন না শারীরিক অক্ষমতার বিষ পান করতে।