অতৃপ্ত আত্তা

 

 

-রিয়া তুই খামোখাই ভয় করছিস।মরা মানুষ কখনো ফিরে আসতে পারে না।

কথা বলতে বলতেই রিয়া আর আকাশ এর আরো দুইটা বেষ্টফ্রেন্ড চলে আসলো।স্মৃতি আর ফারিহা।
আকাশ,রিয়া,স্মৃতি আর ফারিহা ছোট বেলার ফ্রেন্ড।

ওরা আসতেই আকাশ রিয়াকে বলল এইসব কথা যেন ওদের সামনে না বলে।ওই দিন নরমালি সবাই আড্ডা দিয়ে চলে আসলো।

রিয়ার সমস্যাটা মনে হচ্ছে দিন দিন বাড়ছে।২ বছরের এই সমস্যাটা ছিল শুধু কেউ যেন ছায়ার মতো সবসময় ফলো করছে সেটার,সেই স্বপ্ন আর প্রতিদিন সেই হাত আর মুখে একটা ঠান্ডা অনুভূতির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল।কিন্তু এখন রিয়া যখন তখন কার গলার আওয়াজ যেন শুনতে পায়।রিয়ার নাম ধরে ডাকে।কে যেন রিয়ার পিছন দিয়ে হেঁটে যায়।রিয়া যাই করুক স্বস্থি পাচ্ছে না।

এভাবেই রিয়ার দিন ভয়ে ভয়ে চলতে থাকে।রিয়া এখন এম.বি.এ তে ১ম বর্ষের ছাএী।এইসব কিছুর জন্য রিয়ার জীবনটা মনে হচ্ছে থেমে যাচ্ছে।এইসব আর সহ্য করতে না পেরে একদিন ভোরবেলা আকাশ এর বাসায় গেল।

রিয়া গিয়ে কলিং বেল টিপছে

টিং টং টিং টং

কিন্তু আকাশ দরজা খুলছে না।রীতিমতো রিয়া বিরক্ত হলো।অনেকক্ষন পরে দরজা খুললো আকাশ।

-আধো চোখে তাকিয়ে চোখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞাসা করল “কি ব্যাপার?এতো সকালে তুই এইখানে কি করছিস?”

-রিয়া ঝারি দিয়ে বলল “এতক্ষন থেকে আমি দরজা ধাক্কাচ্ছি আর মহা রাজার এতক্ষনে ঘুম ভাঙ্গলো?”

-আমি কি জানতাম না কি যে হুট করে এত সকালে তুই আসবি?

-এখন কি ভিতরে আসতে দিবি না কি আমাকে বাহিরে দাঁড় করিয়েই সব কথা বলবি?

-আয় ভিতরে আয়।

রিয়া ভিতরে গেল।

-এখন বল কি হয়েছে।

-আকাশ তোর পরিচিত কোন হুজুর আছে?

-হ্যাঁ আছে একজন।কিন্তু কেন?

-তুই হয়ত বিশ্বাস করবি না কিন্তু অনেক আজব আজব জিনিস ঘটছে আমার সাথে।আমি আর সহ্য করতে পারছি না।দিন দিন সমস্যাটা বাড়ছেই।

-তোর একটা ভালো ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার।হুজুরের কাছে না।আগে ডাক্তার দেখা।তারপরেও এই সমস্যা হলে হুজুরের কাছে তোকে আমি নিয়ে যাবো।কিন্তু এখন আমাকে আগে বল নতুন করে কি কিছু হয়েছে?

-কে যেন আমার নাম ধরে ডাকে,মনে হয় কে যেন আমার পিছন দিয়ে হেঁটে গেল।আমার খুব ভয় করছে।দিন দিন অতি মাএায় এইসব হচ্ছে।আমি একা থাকতে পারছি না।আমার রাতে ঘুম হয় না।খুব ভয় করে।ওয়াশরুম থেকে কে হুট করে কল ছেড়ে দেয়।আমি বন্ধ করে দেই আবারো এমন হয়।আমার খুব ভয় করছে।

আকাশ এখন খেয়াল করে দেখল রিয়ার চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।যেন কত রাত থেকে ঘুমায়নি।আকাশ রিয়াকে বলল_

-তুই একটু শান্ত হ।সকালে কিছু খেয়েছিস?

-না।আমার কিছুই খেতে ইচ্ছা করছে না।

-না খেলে কিভাবে চলবে?তুই ১০ মিনিট বোস আমি রেডি হয়ে আচ্ছি।

আকাশ রেডি হয়ে রিয়াকে নিয়ে নিচে গেল।

-রিয়া চল একটা রেস্টুরেন্ট এ বসি।

-আমি খাবো না রে।আমার ইচ্ছা নেই।

-তুই চুপ কর।আমার সাথে চল চুপচাপ।

রিয়াকে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে জোর করে খাইয়ে রিয়াকে নিয়ে আকাশ ডাক্তারের কাছে গেল।

(গল্পটি পড়ে কেমন লাগলো,,অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।)